
সনাতন গড়াই, দুর্গাপুর: মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের পারুলিয়া এলাকায়। বেসরকারি উত্তোলক সংস্থার বর্জ্য মিশ্রিত জলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আশঙ্কাজনক আরও ২ জন। একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই যুবকের নাম আকাশ বাদ্যকর (২৫) ও অনুপ সরকার (২৬)। আকাশের বাড়ি কাঁকসার জামবনে। অনুপ মালদহের বাসিন্দা। জখম অবস্থায় আরও তিন যুবককে প্রথমে দুর্গাপুরের শোভাপুর সংলগ্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকিদের সেখান থেকে বিধান নগরের বেসরকারি মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে অন্যান্য দিনের মতো ওই বেসরকারি গ্যাস উত্তোলক সংস্থার পারুলিয়ার ২৪২ নম্বর পিটে কাজে যোগ দেয় ওই যুবকেরা। আচমকা গ্যাস উত্তোলনের পর বর্জ্য মিশ্রিত জমা জলে পড়ে যায় ওই পাঁচ ঠিকা কর্মী। সহকর্মীরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় শোভাপুর সংলগ্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁদের বিধান নগরের মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে আকাশ ও অনুপকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
বাকি দুই যুবক বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জামবনের বাসিন্দা সন্তু রায়ের অভিযোগ, গ্যাস উত্তোলক সংস্থার গাফিলতির জেরে মারা গেলেন দুই ঠিকা শ্রমিক। তিনি বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের শাস্তি দাবি করছি। এর আগেও একাধিকবার সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে শ্রমিকদের। কী কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল তার জবাব দিতে হবে সংস্থার আধিকারিকদের।” গ্যাস উত্তোলক সংস্থার জুনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা শুনেছি দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। সব রকম ভাবে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে আমরা আছি।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
