
নারী ভাসমান
রমা চক্রবর্তী
নারীর জীবন শুধুই ভাসমান,
ভাসমান কচুরিপানার মতো ভাসতে ভাসতে
নদীর এপাড় থেকে ওপাড়ে গিয়ে
স্তূপাকারে জমা হয়।
কখনও বেগুনী ফুলটাকে দেখে
কেউ বলে বাহ! বেশ সুন্দর,
আবার কখনও জঞ্জাল ভেবে
ছুঁড়ে ফেলে দেয় দূরে।
কচুরিপানার ফুলকে কেউ বুকের মাঝে
জাপটে ধরে আদর করে,
আবার কেউ ফুলের পাপড়িগুলোকে ঝড়িয়ে দেয়।
নারীর জীবন কচুরিপানার মতোই ভাসমান পুরুষের আগমনে,
কুমারী থেকে বিবাহিত জীবনের দিকে।
কচুরিপানার মতোই নারী সুখের সন্ধান খুঁজে বেড়ায় ভাসতে ভাসতে,
হয়তো বা সুখের পাহাড় মাথা উঁচু করে
উঁকি দেয় সীমাহীন আকাশে।
কারও বা সুখের ঠিকানার পাতাগুলো
একে একে হারিয়ে যেতে থাকে
গভীর অন্ধকারের দিকে।
অজানা ঠিকানার সন্ধানের পথ ধরে
শুধুই সম্মুখে এগিয়ে চলা,
এটাই তো ভেসে চলা,
ভাসমান কচুরিপানার মতো
বন্ধনহীন গতিতে শুধুই এগিয়ে চলা।

চটকা
মানু গৌতম
ল্যাংটো বেটি কেন হলি।
শিবের বুকে পা টা দিয়ে
লজ্জ্বা দিলি জলাঞ্জলী।।
জগৎ সংসার তোর-ই শ্যামা
তবু কেন কাপড় জোটে না
আবার ফুলের মালা দূরে ঠেলে
মুন্ডমালা গলায় নিলি।।
স্বামীটা তোর মাতাল জানি
ভুতে করে টানা টানি
তুই যে মাগো রাজ ভবানী
গয়না গাঁটি কোথায় দিলি।
আছে কতো ছেলে মেয়ে মা
তবু কি তোর লাজ লাগে না
মাতৃ রূপে আয় দেখি মা
মুন্ড মালা আসি ভুলি।।

সমীকরণ
পুলক চক্রবর্তী
তোমাকে দেওয়া কথাটাই রইলো, তাইতো আবার আগন্তুক হয়ে গেলাম।
বৃষ্টির জলে পুরানো পরিচিতি কাগজের নৌকার মতো ভেসে চলেছে, মাঝিহীন গন্তব্যে।
সময় আজ থমকে আছে, অহংকারী মনের কথাতে।
ব্যস্ততার কারবারে চেষ্টা করেছি ডুবে যেতে, পারিনি ডুবতে।
ফুলদানির সেই লাল গোলাপ আজ ভুলেছে নিজের রঙের বাহারকে।
তুমি চেয়ে বসলে দুরত্ব, আর আমি তোমাকে চেয়ে রইলাম ঐ দুরের থেকে।