প্রতারিতরা মামলা দায়ের করেছেন, অভিযুক্তদের খুঁজছে পুলিশ
দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: রেলে চাকরির নামে অন্তত ৩০ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরে। পুলিশ আপাতত গ্রেফতার করেছে ১জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম দীপক দাস। বাড়ি ফরিদপুর। এছাড়াও ফরিদপুরের দয়াময় দাস, ভিড়িঙ্গি এলাকার সুনীল কুমার মাঝি, অনিমেষ মাঝি, বিধান কর্মকারদের নামে অভিযোগ রয়েছে।
আমরাইয়ের সুজিত চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তিনি প্রায় ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। ফরিদপুরের বরুণ চট্টোপাধ্যায় দিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা। বেনাচিতির নীলিমা পাল ছেলের চাকরির জন্য বাড়ি বিক্রি করে সাড়ে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। অধিকাংশ টাকাই দিতে হয়েছে নগদে। ফলে পুরো প্রমাণ তাঁদের কাছে নেই। তাঁদের মতো আরও অনেকের কাছ থেকে এভাবে টাকা নিয়েছেন প্রতারকরা, এমনই অভিযোগ উঠেছে।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
টাকা দিয়েও চাকরি না পাওয়ায় ফরিদপুরের বরুণ চট্টোপাধ্যায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনিই মূল অভিযোগকারী। তবে পুলিশ সুজিত চট্টোপাধ্যায়, নীলিমা পালদেরও অভিযোগকারীর তালিকায় জুড়ে দিয়েছে। শনিবার রাতে দুর্গাপুর থানার ফরিদপুর এলাকার বাড়ি থেকেই দুর্গাপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে দীপক দাসকে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। রবিবার ধৃতকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
প্রতারিতদের অভিযোগ, পরীক্ষা দেওয়ার পরেই রেলের চাকরি মিলবে বলে তাঁদের বলা হয়েছিল। টাকা নেওয়ার পরে কয়েকমাস কেটে গেলে দয়াময় দাস সহ বাকি অভিযুক্তরা তাঁদের সাথে যোগাযোগ করতে চাননি। শেষমেষ কোনও উপায় না পেয়ে দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নীলিমা দাস ও সুজিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের পরিচিত দয়াময় দাস, অনিমেষ মাঝি, দীপক দাস, সুনীল কুমার মাঝি, বিধান কর্মকার। সেই পরিচিতির সুযোগ নিয়েই আমাদের ছেলেদের রেলে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা নেয়। টাকা যাতে ফেরত পাই সেই ব্যবস্থা করুক পুলিশ। সঠিক তদন্ত দাবি করছি। কড়া শাস্তি চাইছি অভিযুক্তদের।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।