দুর্গাপুর দর্পণ, ২২ মে ২০২৪: চাষের জমির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করায় হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) বাসুদেবপুর এলাকার ক্ষুব্ধ চাষীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, জেসিবি মেশিন লাগিয়ে একের পর এক জমি থেকে কাটা হচ্ছে মাটি। তারপর সেই মাটি ট্রাক্টরে ভরে পাচার হয়ে যাচ্ছে বাসুদেবপুর সংলগ্ন ইটভাটায়। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর।
এলাকার বাসিন্দা বুদ্ধদেব ঘোষ অভিযোগ করেন, ইটভাটা মালিক ভূপেন দেওয়াসীর জমি রয়েছে কাঁকসার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসুদেবপুর মৌজার শেষ প্রান্তে। ভূপেনের জমির ঠিক পাশেই দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের গৌড়বাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামসুন্দরপুর মৌজার শুরুতে রয়েছে তাঁর জমি। ভূপেন নিজের জমি থেকে মাটি কেটে পাচার করার সাথে সাথে প্রভাব খাটিয়ে তাঁদের জমিরও কিছুটা অংশ কেটে নিচ্ছে। ফলে তাঁদের এবং পাশের আরও অনেক জমি উঁচু-নিচু হয়ে যাচ্ছে। চাষের সময় চরম সমস্যায় পড়তে হবে।
একাধিকবার ভূপেনকে মাটি কাটতে বারণ করা হলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় গৌড়বাজার এবং বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে। অভিযোগ জানানো হয়েছে দুর্গাপুর ফরিদপুর ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরেও। তার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে অভিযোগ।
যদিও ভূপেন দাবি করেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর নিজের জমি সমান্তরাল করার জন্য মাটি কাটছিলেন। কারওর জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া হয়নি। নিয়ম মেনে পঞ্চায়েতের সম্মতি নিয়ে তিনি মাটি কাটছিলেন বলে দাবি করেন। দুর্গাপুর-ফরিদপুরের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুবর্শ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এইভাবে জমি থেকে মাটি কেউ কাটতে পারে না। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান হবে।” কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, “সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এবং আইন ভেঙে যদি কেউ কোনও অবৈধ কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।