দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ১২ জুলাই ২০২৪: রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কৃষি দফতরের সরকারি জমি নিজের নামে রেকর্ড করেছেন এক তৃণমূল নেতা। পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের কাঁকসার বনকাটির তৃণমূল নেতা বুদ্ধদেব ওরফে লালু রায়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল পরিচালিত বনকাটি পঞ্চায়েতের প্রধান তবাসুম খাতুন বিএলআরও দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিএলআরও রাজীব গোস্বামী।
জানা গিয়েছে, কাঁকসার বনকাটিতে বাম আমলে কৃষি দফতরকে রেজিস্ট্রেশন করে জমি দান করেছিল এলাকার মুখোপাধ্যায় পরিবার। এই জমিতে কৃষি দফতর কার্যালয় তৈরি হয়। দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার বাসিন্দারা এই কার্যালয় থেকে পরিষেবা পেয়েছেন। প্রায় আঠেরো কুড়ি বছর আগে কার্যালয়টি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে সরকারি এই জমিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এখনও এখানে কৃষি দফতরের কার্যালয়ের কংক্রিটের কাঠামোর দেখা মেলে।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500 )
সেই সরকারি জমি তৃণমূল নেতা লালু রায়ের নামে হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সরকারি জমি কিভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন হয়ে গেল বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। তবে সরকারি জমি যাতে সরকার ফিরে পায় তা সরকারের দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তাঁরা। এই জমি সরকারকে দিয়েছিল মুখোপাধ্যায় পরিবার। সেই পরিবারের সদস্য দেবীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জানান, এই জমি বর্ধমানে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে ভূমি দফতরকে দানপত্র করেছিলেন তাঁর বাবা। কিন্তু সেই জমি এখন দেখা যাচ্ছে এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তির নামে হয়ে গিয়েছে।
যাঁর নামে এই জমি রেকর্ড হয়েছে তিনি এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি। তাঁর স্ত্রী বুলু রায় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য । বুদ্ধদেব রায় জানিয়েছেন, রাজনৈতিকভাবে তাঁকে কোনঠাসা করার জন্যই কেউ চক্রান্ত করে এই কাজ করেছে। জমির মালিকানা বদলের বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবাণীপ্রসাদ ভট্টাচার্য ও কাঁকসার বিএলআরও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। (বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।