দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪: ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্পের পাকা বাড়ি পেতে স্থানীয় তৃণমূল যুব নেতাকে কাটমানি দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুরের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের রায়ডাঙা কলোনিতে। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ওয়ার্ড সভাপতি গুড্ডু খানের বিরুদ্ধে। যদিও স্থানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা বিজেপি নেতা চ্ন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন গুড্ডু খান।
ঘটনার সূত্রপাত মাস ছয়েক আগে। রায়ডাঙা কলোনিতে বেশ কিছু মানুষ হাউস ফর অল প্রকল্পের আওতায় আসেন। পাকা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্র দেয় প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, রাজ্য দেয় ১ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা এবং উপভোক্তা দেন ৩৫ হাজার টাকা। উপভোক্তাদের দাবি, পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা সার্ভে করেই তাঁদের নাম এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করিয়েছেন।
কিন্তু কেন? অভিযোগ, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি গুড্ডু খান এই উপভোক্তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাইছেন। উপভোক্তারা সেটা দিতে না চাওয়াতেই নানা অছিলায় বাড়ি তৈরির কাজ মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি শাসানিও দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। ইতিমধ্যে স্থানীয় কোকওভেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে গুড্ডু খানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ হয়েছে পুরসভাতেও।
দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় সেই অভিযোগের চিঠি কোকওভেন থানায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। গুড্ডু খানের দাবি, চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে থাকাকালীন পাকা বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন। এখন অবস্থা বেগতিক বুঝে তাঁকে কলঙ্কিত করতে চাইছেন। পুরসভার এক শ্রেণীর ইঞ্জিনিয়ার বিজেপি নেতাদের কথা শুনে কাজ করছেন। ঘুঘুর বাসায় পরিণত করেছেন পুরসভাকে। চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নিজেকে বাঁচানোর জন্য ভুলভাল বকছেন গুড্ডু খান।
দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রাখি তেওয়ারী বলেন, পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। যে দোষী তার শাস্তি হবে। উপভোক্তাদের অভিযোগ, গুড্ডু খানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। থানা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অথচ, গুড্ডু খান তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের তদন্ত চলছে।