কাঁকসা: ‘পথশ্রী’ প্রকল্পে রাস্তা তৈরির কাজে গাফিলতির অভিযোগ পেয়ে ছুটে গেলেন পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান। ঠিকা সংস্থার কর্মীদের বেঁধে রাখার নিদান দিলেন প্রধান। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় কাঁকসার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনাড়া এলাকায়। বিরোধীদের কটাক্ষ, সরকারি কাজে দুর্নীতির প্রমাণ ফের প্রকাশ্যে এল। কাজের গাফিলতি হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
কাঁকসার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনাড়া পূর্বাচল পাড়ায় দু’দিন আগে তৈরি হয়েছে ঢালাই রাস্তা। ৮৬ মিটার রাস্তা করতে খরচ হয়েছে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। শনিবার সেই ঢালাই রাস্তা ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে পাথর। ঢালাইয়ের পাশে কাঠের পাটাতন খুলতেই বেরিয়ে আসে বালি। তারপরেই স্থানীয়রা পথশ্রী কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঠিকাদারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ শুরু করেন। শুরু হয় উত্তেজনা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীনন্দা রায় মহান্তি ও উপপ্রধান গণেশ মণ্ডল। ঠিকাদার ও ঠিকা সংস্থার কর্মীদের কাছে গাফিলতির কারণ জানতে চান। ৬ ইঞ্চি পুরু ঢালাই করার কথা ছিল তা কেন কোথাও সাড়ে ৪, কোথাও ৫ ইঞ্চির করা হয়েছে তার কৈফিয়ত চান।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
প্রধান দুর্নীতি প্রশ্নে ঠিকাদারকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে এলাকাবাসীকে সাফ জানিয়ে দেন, প্রয়োজনে ঠিকা সংস্থার কর্মীদের দড়ি দিয়ে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখুন। প্রধান শ্রীনন্দা রায় মহান্তি বলেন, “এই ঠিকাদার সংস্থা গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যতগুলি ঢালাই রাস্তা করেছে সবগুলি থেকেই অভিযোগ এসেছে। অভিযোগ পেয়েই আমরা এখানেও এসেছি। ঠিকাদার সংস্থার কাছে আমরা জানতে চেয়েছি কেন কাজে গাফিলতি করা হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।”
বর্ধমান-দুর্গাপুর জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি রমন শর্মা বলেন, “সরকারি কাজে যে দুর্নীতি হচ্ছে তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। প্রধানের কথাতেই দুর্নীতির শিলমোহর পড়ে যাচ্ছে। যতদিন তৃণমূল সরকার থাকবে ততদিন এই দুর্নীতি চলবে।” বিরোধীদের কটাক্ষ উড়িয়ে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “সরকারি কাজের গাফিলতির অভিযোগ যেখান থেকেই আসছে সেখানেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই কাজের ক্ষেত্রেও নিশ্চয়ই জেলা স্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে রাজ্য থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযোগ অস্বীকার করে কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার কাজি সাহেব আফ্রিদির দাবি, “নিয়ম মেনে কাজ করা হচ্ছে। যেখানে এলাকাবাসীর চাহিদা বেশি রয়েছে সেখানেও নিয়ম মেনেই কাজ করা হচ্ছে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।