Durgapur: তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদেরই পোস্টার ঘিরে তোলপাড় দুর্গাপুর

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ২৬ জুন ২০২৩: তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদেরই পোস্টার ঘিরে তোলপাড় পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুর। সগরভাঙার বেসরকারি গ্রাফাইট কারখানার দেওয়াল জুড়ে পোস্টার পড়েছে। শ্যামল ঘোষ নামে একজন তৃণমূলের নাম করে প্রভাব খাটিয়ে বাড়ির চারজনের চাকরি করে নিয়েছেন। তাঁর ভাই কারখানায় ঠিকাদারি করেন। এভাবে যদি একটি বাড়িতেই সবাই কাজ পেয়ে যান, তাহলে এলাকার বাকি বেকারদের কাজ হবে কী করে? এমনই অভিযোগ তুলে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। যদিও শ্যামল ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি।
ওই কারখানায় স্থানীয়দের চাকরির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চলছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কারখানার দূষণ ভোগ করেন তাঁরা। অথচ কাজ দেওয়ার সময় টাকা নিয়ে বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে দেন তৃণমূলের নেতারা। এই ইস্যু নিয়ে ওই কারখানায় রীতিমতো তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রক্তারক্তি হয়েছে অতীতে। সপ্তাহখানেক আগে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে এলাকার তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান কারখানার গেটে। সেদিন পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় শেষ পর্যন্ত।
এরপর সোমবার সকালে দেখা যায় ওই পোস্টার। পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের বক্তব্য এই যে, শ্যামল ঘোষের একটি বাড়ি থেকে তৃণমূল দলের নাম ভাঙিয়ে যদি চারজন চাকরি করে তাহলে এলাকার বাকি বেকার যুবকেরা কোথায় যাবে, ভবিষ্যত-এ আগত দিনগুলিতে কোনো যুবক আর তৃণমূল দলের সাথে যুক্ত হবে কি?’ পোস্টারের নিচে লেখা, ‘এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস যুবকবৃন্দ’। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই অভিযোগ জানিয়ে তদন্ত করার দাবি জানানো হয়েছে পোস্টারে।
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ওই কারখানায় স্থানীয় বেকারদের বঞ্চিত করে টাকার বিনিময়ে বহিরাগতদের কাজ দেওয়া, নিজেদের লোক ঢোকানোর অভিযোগ করে আসছি। এবার তৃণমূলই পোস্টার দিয়ে আমরা যে সত্যি বলছি তা বলে দিল।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘‘শুধু টাকা কামানোর জন্য তৃণমূলের নেতারা শ্রমিক দরদী সাজার চেষ্টা করে থাকেন। সময় এলেই সব ফাঁস হয়ে যায়।’’ এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর সুনীল চট্টোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেন, ‘‘বিরোধীরাই এই পোস্টারগুলি মেরেছে।’’