দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ৯ জুলাই ২০২৪: সরকারি স্কুলের এমন রূপ দেখে অভিভূত আমেরিকার অধ্যাপক। পাঠালেন আর্থিক সাহায্য। পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুলের ঝকঝকে তকতকে রূপ তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন। এরপরেই তিনি স্কুলকে সাহায্য করার পরিকল্পনা করেন। আমেরিকার পেন ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. দীপেন্দ্র নারায়ণ ভট্টাচার্য স্কুলকে দেড় লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন। সেই টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যাঙ্কে স্থায়ী আমানত হিসাবে রেখেছেন। এর বার্ষিক সুদ থেকে ১০,০০০ টাকা পুরস্কার হিসাবে প্রতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপককে প্রদান করা হবে। এই বছর সেই পুরস্কার পেল রূপেশ কুমার রায়।
মঙ্গলবার নেপালি পাড়া হাই স্কুলের মেধাবি পড়ুয়াদের সম্মান জ্ঞাপক সমারোহ আয়োজন করা হয়। ২০২৪ সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় শীর্ষ ১০ জন সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ প্রদানের জন্য এই সম্মান জ্ঞাপক সমারোহের আয়োজন করা হয়। শীর্ষ তিন ছাত্রছাত্রীকে যথাক্রমে ২০০০, ১৫০০ এবং ১০০০ টাকা নগদ পুরস্কার সহ প্রশংসাপত্র ও স্মারক প্রদান এবং অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদেরও শংসাপত্র এবং স্মারক প্রদান করা হয়। এই বিশেষ বিভাগের পুরস্কারগুলি নেপালি পাড়া হিন্দি হাই স্কুলের প্রাক্তন সভাপতি রাজেন্দ্র সিং মহাশয়ের সৌজন্যে বিতরণ করা হয়।
( BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
এছাড়াও মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক ছাত্রকে ১০,০০০ টাকা নগদ অর্থ বিশেষ পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হয়। এই বছর রূপেশ কুমার রায় এই পুরস্কারের প্রাপক। এই পুরস্কার অনাবাসী ভারতীয় অধ্যাপক দীপ্তেন্দ্র নারায়ণবাবু তাঁর বাবা-মা উপেন্দ্র নারায়ণ ও শোভনাদেবীর নামে উৎসর্গ করেছেন। এছাড়াও এদিন বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ধনুষধারি রায় ‘অ্যাকাডেমিক এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য পঞ্চম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কারের খরচ আজীবন বহন করার ঘোষণা করেন। যার জন্য তিনি বিদ্যালয়কে ২০ হাজার টাকার একটি চেকও প্রদান করেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা, এসিপি (দুর্গাপুর) সুবীর রায়, শিক্ষক নুরুল হক প্রমুখ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কলিমুল হক বলেন, “দীপেন্দ্র নারায়ণবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় স্কুলের পরিকাঠামো দেখে যোগাযোগ করে বলেন, এটা সরকারি স্কুল! আগে কখনও দেখিনি এত ভালো পরিকাঠামো। আমিও আপনাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমার বাবা মায়ের নামে উৎসর্গ করে মাধ্যমিকে গণিতে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকের হাতে প্রতিবছর দশ হাজার টাকা করে তুলে দিতে চাই। আমি সম্মতি প্রকাশ করি। তারপরেই উনি দেড় লক্ষ টাকা পাঠান। উনার এই উদ্যোগের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।