অমৃত বচন: একজন অন্ধ কি আর একজন অন্ধকে কখনও পথ দেখাতে পারে?

অমৃত বচন: একজন অন্ধ কি আর একজন অন্ধকে কখনও পথ দেখাতে পারে? (সংকলক: সন্দীপ সিনহা)

আদর্শ আচার্য: ভারতীয় ভাবধারা অনুসারে, শিক্ষক এক জ্বলন্ত প্রদীপ যাঁর সাহায্যে আরও অনেক প্রদীপ জ্বালানো যায়। একজন অন্ধ কি আর একজন অন্ধকে কখনও পথ দেখাতে পারে? তবে পুঁথিগত শিক্ষাই শিক্ষকের একমাত্র মানদণ্ড নয়। তাঁর জ্ঞান হয়তো বিশ্বকোষতুল্য হতে পারে, কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁর চরিত্রে উচ্চতম নৈতিক উৎকর্ষও থাকতে হবে।

তিনি যে কেবল বড় বড় নীতিকথা শেখাবেন তা নয়, জীবনেও সেগুলি আচরণ করে দেখাবেন। মানুষের শ্রেষ্ঠ গুণগুলির দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে হবে তাঁকে। কারণ তিনি কতটা জানেন তা দিয়ে নয়, একমাত্র তাঁর চরিত্রের দ্বারাই তিনি মানুষকে উদ্দীপিত করতে পারেন। আমাদের দেশে একটি কথা চালু আছে—জানা মানে হওয়া। যে জ্ঞান মানুষকে নিখুঁত করে না —শুধু কর্মদক্ষতার দিক দিয়েই নয়, চারিত্রিক উৎকর্ষতার দিক দিয়েও —সে জ্ঞান জ্ঞানই নয়।

শিক্ষককে প্রথমেই বিদ্যর্থীর মনে জ্ঞানলাভের স্পৃহা জাগাতে হবে। শারীরিক ও মানসিক শক্তির সদ্ব্যবহার যাতে তারা করতে পারে,সেই প্রশিক্ষণও তাদের দিতে হবে। মানুষের সবচেয়ে শক্তিশালী ইন্দ্রিয় হলো মন। সুনিয়ন্ত্রিত সুস্থ মন মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু এবং পথপ্রদর্শক। এরকম একটি মন দরকার। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।

Related Post