দেওয়ালে ফাটল, বৃষ্টির জল ঢোকে ঘরের ভিতর, আবাসে নাম নেই ফুচকাওয়ালার

সনাতন গড়াই, দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা: দেওয়াল জুড়ে ফাটল। দমকা হাওয়ায় কাঁপছে মাটির বাড়ি। বৃষ্টির জল ঢুকছে ঘরের ভিতর। ত্রিপল টাঙিয়ে রাত কাটছে। চরম বিপাকে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) কাঁকসা ব্লকের মলানদিঘী পঞ্চায়েতের বিষ্ণুপুর গ্রামের ফুচকাওয়ালা দয়াময় দাস ও তাঁর পরিবার। বার বার আবেদন করেও আবাসের বাড়ি মেলেনি বলে অভিযোগ তাঁর। আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য।
বিষ্ণুপুর গ্রামে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন দয়াময়। আর্থিক অনটনের জেরে পাকা বাড়ি তৈরি করতে পারেননি। ফাটল ধরা মাটির বাড়িতে আতঙ্কের মধ্যে কোন রকমে দিন গুজরান করেন। কিন্তু চলতি বছরের শুরু থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়, বৃষ্টি চলছে। তাতেই সমস্যায় পড়েছেন তিনি। শোওয়ার ঘরে জল ঢুকছে। কোন রকমে ত্রিপল টাঙিয়ে রাত কাটাচ্ছেন।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
দয়াময় বলেন, “দুই মেয়ের কোন রকমে বিয়ে দিয়েছি। ফুচকা বিক্রি করে দিন চলে আমার আর আমার স্ত্রীর। বাড়ি নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রাত কাটাই। ঝড় বৃষ্টি হলে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়। একাধিকবার পাকা বাড়ির জন্য আবেদন করেছি। প্রতিশ্রুতি মিলেছে। কিন্তু কাজ হয়নি। প্রশাসন যদি আমাদের দিকে নজর দেয় তাহলে উপকৃত হব।”
তাঁর স্ত্রী মিনতি বলেন, “ঝড় হলে ঘর দোলে। ঘরে থাকতে পারি না। মাটির দেওয়ালের চাঙর ছেড়ে ছেড়ে পড়ছে। চরম আতঙ্কের মধ্যে আমাদের থাকতে হয়।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনা টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। তবুও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সাথে কথা বলব। স্থানীয় পঞ্চায়েতের সাথেও কথা বলব। দ্রুত যাতে ওই ব্যক্তির সমস্যার সমাধান করা যায় তা দেখব।” জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রমন শর্মা বলেন, “যারা গরীব মানুষ তাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে সেই টাকায় গরিব মানুষকে বাড়ি দেওয়া হচ্ছে না।”(বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )

