দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা। বিধাননগর ফাঁড়ির পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ছাত্রীর পরিবার ও স্কুল। বিধাননগরের স্কুল থেকে এইচএফসিএল কলোনি ধরে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিল ওই ছাত্রী। রাস্তায় গাড়ি থেকে নেমে এক মদ্যপ যুবক ছাত্রীর জামা ধরে টানা হ্যাঁচড়া শুরু করে বলে অভিযোগ। কোনও রকমে ওই ছাত্রী নিজেকে ছাড়িয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় সেখান থেকে।
সোমবার বিকালে গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা, বিধাননগর গার্লস হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণীর দুই ছাত্রী সাইকেলে করে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। এইচএফসিএল টাউনশিপের ভিতরে একটি মন্দিরের কাছে একটি নীল রঙের চার চাকা গাড়ি তাদের পথ আটকায়। আড়াআড়ি গাড়ি দাঁড় করিয়ে এক ছাত্রীকে জোর করে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। তাদের চিৎকারে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী।
( BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
বাড়িতে গিয়ে বাবা মাকে সব জানায় ওই ছাত্রী। পরের দিন স্কুল কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে ছাত্রীর বাবা স্কুলের কাছেই বিধাননগর ফাঁড়িতে যান লিখিত অভিযোগ জানাতে। অভিযোগ, পুলিশ জানিয়ে দেয়, ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেটি কাঁকসা থানার অধীন। তাই তাঁদের কাঁকসা থানায় অভিযোগ জানাতে হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ, উল্টে বিধাননগর ফাঁড়ির পুলিশ তাঁদেরকে প্রশ্ন করে, কেন তাঁরা মেয়েদের একা ছেড়ে দেন?
পুলিশের এই ভূমিকায় হতাশ স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে অভিবাবক, সবাই। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারকে ই-মেলের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর বাবা। ওই ছাত্রী বলে, স্কুলে আসা যাওয়ার পথে যদি পুলিশের টহল থাকে তাহলে তারা নিশ্চিন্ত হয়। তা না হলে এদিন যা ঘটেছে তাতে তারা রীতিমতো আতঙ্কিত। এখন পুলিশ কী করে সেটাই দেখার! (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।