
দুর্গাপুর দর্পণ, ৩ জুলাই ২০২৪: বিয়ে শেষ হতে না হতেই বর কনে ছুটল রাস্তায়। বুধবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের বেনাচিতি পাঁচমাথা মোড়ে এমন ঘটনা দেখে পথচলতি অনেকেই দাঁড়িয়ে পড়েন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ভুল ভেঙে যায়। তাঁরা বুঝতে পারেন, ওরা আসল বর-কনে নয়। বর-কনে সেজেছে দুই যুবক। তারা সিভিক ভলান্টিয়ার। হঠাৎ হলটা কী দুর্গাপুরে? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এসবের নেপথ্যে রয়েছেন দুর্গাপুর সাব ট্রাফিক গার্ডের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিনয় লায়েক।
পুরোহিত মশাইয়ের মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে বিয়ে হল। যৌতুকে দেওয়া হল দামি বাইক। কিন্তু সঙ্গে কোনও হেলমেট দেওয়া হল না। নিমন্ত্রণ খেতে এসে একজন শ্বশুরমশাইকে বললেন, আপনি কি মেয়ে জামাইয়ের মৃত্যু চান! অবাক শ্বশুর বলেন, এ কথা কেন বলছেন? তখনই ওই ব্যক্তি বলেন, “আমি সাব ট্রাফিক গার্ডের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিনয় লায়েক। আপনার মেয়ে জামাইয়ের হেলমেটের ব্যবস্থা করছি। একই সঙ্গে হেলমেট না পরলে কি হতে পারে, কত জরিমানা হতে পারে সব বুঝিয়ে দিচ্ছি।” তারপরেই ট্রাফিকের কর্মীরা সেই বিয়েবাড়িতে হাজির হন হেলমেট, ব্রেথ অ্যানালাইজার, দূষণ মাপার যন্ত্র, ফাইন মেসিন নিয়ে।
( রাজেন্দ্র একাডেমি ফর টিচার্স এডুকেশন। NAAC স্বীকৃত শিক্ষক প্রশিক্ষণের সেরা প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ- 8170031466)
শুধু মেয়ে, জামাই বা পাত্রীপক্ষই নয়। বিয়ে বাড়িতে আসা আত্মীয়-স্বজনদের, পথ চলতি মানুষকেও সচেতন করা হয়। বিয়ে শেষ হতেই বর-কনেও নেমে পড়লেন রাস্তায়, ট্রাফিক সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ করতে। হেলমেটহীন বাইক আরোহী, পথ চলতি মানুষকে বাইক চালানোর সময় হেলমেট পড়ার বার্তা দেন। বর ও কনে সেজেছিল দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার গঙ্গেস গোপ ও রাধা বল্লভ মুখার্জি। দুর্গাপুর সাব ট্রাফিক গার্ডের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিনয় লায়েক বলেন, “সামনেই রথযাত্রা। বহু মানুষ হেলমেট না পরে বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। প্রাণহানিও হয়। আমরা নানাভাবে সচেতন করি। এবারেও রাস্তায় নেমেছি, বিয়ে বাড়ির পরিবেশ তৈরি করে করে সচেতনতা প্রচারে। মেয়ে জামাইকে যৌতুক হিসাবে বাইক নয়, দিন দুটি হেলমেট। তাহলে একদিকে যেমন নব দম্পতি দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচবে তেমনই নিরাপদে পৃথিবীর আলো দেখবে নবজাতক।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।