দুর্গাপুর: ঝাড়খন্ডের দূষণে ঢাকছে বাংলা। শীতকালে উত্তুরে হাওয়া দক্ষিণে আসার ফলে ঝাড়খণ্ডের দূষণ ঢুকছে বাংলায়। আইআইটি দিল্লির সমীক্ষায় তা উঠে এসেছে। সেই দূষণ আটকাতে ঢাল হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে তিন স্তরের গাছের পাঁচিল। পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) সুব্রত ঘোষ শুক্রবার একথা জানান।
এই শহরের দূষণ সম্প্রতি দিল্লিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। মাথায় হাত পড়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, পুরসভা, প্রশাসনের। দুর্গাপুরের একাধিক ইস্পাত কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেয় দুর্গাপুরের আঞ্চলিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তারপরেও পরিস্থিতির খুব উন্নতি না হওয়ায় শুক্রবার আসানসোল দুর্গাপুরের প্রায় ১০০ টি কারখানাকে নিয়ে পর্ষদের আঞ্চলিক দফতরে জরুরী বৈঠক হয়। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ওএসডির উপস্থিতিতে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ, দুর্গাপুর নগর নিগম, মহকুমা প্রশাসন ও আসানসোল ও দুর্গাপুরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে নিয়ে এই বৈঠক হয়।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
পর্ষদের ওএসডি সুব্রত ঘোষ জানান, দূষণের অভিযোগে আসানসোল ও দুর্গাপুরের একাধিক কারখানাকে সতর্ক করা হয়েছে। ডিপিএলের ছাই কারখানা থেকে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা না দেওয়া হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, দরকার হলে ফাইন করা হবে। প্রত্যেক কারখানাকে ওয়াটার স্প্রিংলার ব্যবহার করে কারখানার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রাস্তায় রাস্তায় জল দিতে হবে। সমস্ত কারখানায় সবসময়ই ইএসপি চালাতে হবে। কারখানাগুলির গতিবিধি নজরে রাখতে দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন, আসানসোল দুর্গাপুরে উন্নয়ন পর্ষদ, দুর্গাপুর নগর নিগম সহ সমস্ত কারখানাকে সঙ্গে নিয়ে একটি হোযাটসঅ্যাপ গ্রুপ করা হয়েছে।
কারখানাগুলিকে জিপিএস ক্যামেরা ব্যবহার করে প্রতিদিন ওয়াটার স্প্রিংলারের মাধ্যমে রাস্তায় রাস্তায় কবার করে জল দেওয়া হচ্ছে কী না সেই ছবি গ্রুপে পাঠাতে হবে। এই গ্রুপের আধিকারিকরা অভিযোগ পেলেই অভিযান চালাবেন বলে জানান ওএসডি। তিনি আরও জানান, দু’দিন আগে দুর্গাপুরের বাতাসের গুণমান সূচক যে পরিমাণ ছিল তা অনেক নেমেছে। ভবিষ্যতে যাতে বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ন্ত্রণে থাকে তা নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন,”আজ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আঞ্চলিক অফিসে জরুরি বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠক থেকে দুর্গাপুরের সমস্ত কারখানাকে সতর্ক ও সচেতন করা হয়েছে। দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনও নজরদারি বাড়িয়েছে। বামুনাড়া শিল্প তালুকের একটি বেসরকারি ইস্পাত কারখানার এক জেনারেল ম্যানেজার বলেন, “আমাদের যে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা পালন করা হবে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।