উখড়ার গোপদের ভগবতী পুজো ঐতিহ্যে আজও অমলিন
সনাতন গড়াই, দুর্গাপুর দর্পণ, উখড়া: প্রতিমা তৈরি হয়েছিল ১০৮টি গরুর লেজের লোম দিয়ে! পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) উখড়ার গোপদের ভগবতী পুজো নিয়ে খোঁজ নিলে এমনটাই জানা যায়। উখড়ার আনাচে-কানাচে জড়িয়ে রয়েছে এই পুজো নিয়ে নানান স্মৃতি। প্রবীণেরা জানান, গ্রামে প্রায় দেড়শো বছর আগে এলাকার এক ব্যক্তি শুরু করেছিলেন আদিশক্তি ভগবতীর আরাধনা। ভগবতী প্রতিমা তৈরি করা হয়েছিল ১০৮ টি গরুর লেজের একই রংয়ের চুল দিয়ে।
দুর্গাপুজোর মতোই সপ্তমীতে দোলা এনে শুরু হয়েছিল মায়ের পুজো। অষ্টমীর সন্ধিক্ষণে ছাগবলি। দশমীতে প্রতিমা নিরঞ্জন। দূর দূরান্তের ভক্তরা আসতেন পুজোর সময়। কয়েক বছর পর সেই ব্যক্তি পুজোর দায়িত্ব দেন উখড়ার কুঞ্জবিহারী স্কুল সংলগ্ন গোয়ালাপাড়ার রাখাল গোপকে। কয়েক বছর রাখাল গোপ পুজোর আয়োজন করেন। এরপর তাঁর ছেলে জিতেন গোপ এবং এলাকার কয়েকজন মিলে পুজো পরিচালনা করতে থাকেন। স্থায়ী মন্দির না থাকায় উখড়ার তৎকালীন জমিদার স্থায়ী মন্দির স্থাপন করে দেন। আটচালা করে দেওয়া হয়।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
তারপর থেকে জিতেন গোপ এলাকার সব গোপ পরিবারের একত্রিত করে জাঁকজমক ভাবে পুজোপাঠ শুরু করেন। পুজোর খরচ যোগান এলাকার সমস্ত স্তরের মানুষ। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এবারের পুজো। আজ নবমী। ভগবতী মন্দির কমিটির সম্পাদক বাসুদেব গোপ বলেন, “এই পুজোকে ঘিরে রয়েছে নানান কাহিনী। ভক্তি ও অগাধ আস্থা দিয়ে মাকে ডাকলে মা ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন। এই পুজোয় দুর্গাপুজোর মতোই পুজো পাঠ হয়। পুজোর কটা দিন বাইরে থেকে ছেলে মেয়েরা বাড়ি ফিরে আসেন। ষষ্ঠীতে বোধন। দশমীতে প্রতিমা নিরঞ্জন হয় এলাকার পুকুরে। প্রসাদ বিতরণ, অন্নকুটের ব্যবস্থা, সবই হয় প্রাচীন রীতি মেনে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।