দুর্গাপুর: লাল মুনিয়া, সবুজ বাঁশপাতি, দেশি চাঁদিঠোঁট সহ নানা আপাত বিরল প্রজাতির পাখি রয়েছে অজয়ের পাশের জঙ্গলে। বন দফতরের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। বর্ধমান বন বিভাগের উদ্যোগে মঙ্গলবার এবং বুধবার পক্ষী সমীক্ষা করা হয়। দুর্গাপুর বনাঞ্চলের বনকর্মীরা কাঁকসার শিবপুরে অজয় নদের কিনারায় পক্ষীপ্রেমীদের সঙ্গে নিয়ে এই সমীক্ষা চালান। সেখানে লাল মুনিয়া, মাছরাঙ্গা, ফিঙ্গে, হাড়িচাচা সহ দশ রকম প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে। দেখা মিলেছে বহু পরিযায়ী পাখিরও। দামোদর নদের পাড়ে মোবারকগঞ্জেও পক্ষী সমীক্ষা করা হয়।
বনদফতর সূত্রে খবর, বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সব প্রাণীর প্রয়োজন। প্রতি বছর পক্ষী গণনা করা হয়। সেই সমীক্ষা থেকে বহু বিরল প্রজাতি পাখির দেখা মেলে। সেই পাখি কত রয়েছে তাও গণনা করা হয়। বিরল প্রজাতির পাখিদের সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ নজরদারিও চালানো হয়।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
বর্ধমান বন বিভাগের আধিকারিক সঞ্চিতা শর্মা বলেন, “বনদফতরে উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও পক্ষী প্রেমীদের সঙ্গে নিয়ে শুরু হয়েছে পাখিদের সমীক্ষা। বিশেষ করে বর্ধমান বন বিভাগের কাটোয়া বনাঞ্চল, বর্ধমান বনাঞ্চল ও দুর্গাপুর বনাঞ্চলে এই সমীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুর রেঞ্জে অজয় নদের ধার ও দামোদর নদের পাশের জঙ্গলে বিরল প্রজাতির পাখিদের সংখ্যা কত রয়েছে সেগুলি দেখা হচ্ছে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।