খুন, দুর্ঘটনা না আত্মহত্যা! এক বন্ধুকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ
দুর্গাপুর দর্পণ, রানিগঞ্জ, ২৪ জুলাই ২০২৪: দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিল বছর ১৫ এর কিশোর। শেষ পর্যন্ত দেহ উদ্ধার হল পরিত্যক্ত কয়লা খাদান থেকে। মৃত কিশোরের নাম রীতেশ মন্ডল। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের অন্ডাল থানার মদনপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পলাশবন চন্ডীতলা এলাকার বাসিন্দা। দেহ উদ্ধার হয়েছে বাবুইশোল কলোনির পাহাড়ের বিপরীতে রানিগঞ্জ থানা এলাকার এক পরিত্যক্ত কয়লা খাদানে। খুন, দুর্ঘটনা না আত্মহত্যা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। রীতেশের এক বন্ধু মনু মালাকারকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২২ জুলাই বন্ধুদের সঙ্গে স্কুল যাবার নাম করে বের হয় রীতেশ। সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। রীতেশের বাড়ির লোকজন সব জায়গায় খোঁজ করেন। কিন্তু রীতেশকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার অন্ডাল থানায় রীতেশের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। বুধবার দুপুর বারোটা নাগাদ অন্ডালের বাবুইশোল কলোনির বিপরীতে পরিত্যক্ত খাদানে একজনের দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খাদানটি পরে রানিগঞ্জ থানার অধীনে। খবর দেওয়া হয় রানিগঞ্জ থানায়। পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দেহটি পরিত্যক্ত খাদান থেকে উদ্ধার করে।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
মৃতদেহ সনাক্ত করার জন্য খবর দেওয়া হয় রীতেশের বাবা শ্রীকান্ত মন্ডলকে। তিনি ছেলের দেহ সনাক্ত করেন। রীতেশের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে রীতেশের বাবা ছেলের দুই বন্ধু দিকে অভিযোগ আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, রীতেশের দুই বন্ধু সব জেনেও বিষয়টি তাঁদের কাছে গোপন করেছিল। রীতেশের বন্ধু মনু জানায়, ২২ জুলাই তারা একসঙ্গে স্কুলে যায়। এরপর রীতেশ রানিগঞ্জের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে যেতে বারণ করে। রীতেশের মোবাইলে চার্জ ছিল না বল সে তাদের বাড়িতে চার্জে বসিয়ে গিয়েছিল। সন্ধ্যা পর্যন্ত রীতেশ ফিরে না আসায় তারা মোবাইলটি রীতেশের বাড়িতে গিয়ে তার মাকে দিয়ে আসে। (বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।