দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪: ভয়াবহ দুর্ঘটনা পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় (ডিএসপি)। গলিত লোহা ছিটকে গুরুতর জখম হন পাঁচজন। তাদের ডিএসপি মেন হাসপাতালে প্রথমে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে চারজনকে স্থানান্তর করা হয় বিধান নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
ঘড়ির কাঁটায় তখন আটটা ত্রিশ। শ্রমিকদের আর্তনাদ। ঝলসে যান এক আধিকারিক সহ পাঁচ শ্রমিক। হইচই পড়ে যায় ডিএসপি জুড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ডিএসপির উদ্ধারকারী দল সহ দমকল বাহিনী। পাঁচজনকেই উদ্ধার করে তড়িঘড়ি ডিএসপি মেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানান্তর করা হয় বিধান নগরের একটি বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছান ডিএসপির ডাইরেক্টর ইনচার্জ বিজেন্দ্র প্রতাপ সিং, চিফ জেনারেল ম্যানেজর বিকাশ মানবাটি সহ ডিএসপির শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বরা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ডিএসপির বেসিক অক্সিজেন ফার্নেস বিভাগে গলিত লোহার সাথে বিভিন্ন সামগ্রী মিশিয়ে কনভার্টারে ইস্পাত তৈরীর কাজ করছিলেন শ্রমিকরা।
সেই কনভার্টার ফুটো হয়ে জল বের হতে থাকে। তখনই গলিত লোহা ছিটকে যায়। গলিত লোহা ছিটকে গুরুতর আহত হন ওই বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার পৃথ্বীরাজ রায়, স্থায়ী শ্রমিক সোমনাথ ঘোষ, দুজন প্রশিক্ষণরত শ্রমিক সর্বজিত ঢাঙ্গর ও বিনয় কুমার হরিজন এবং একজন অস্থায়ী শ্রমিক চিত্তরঞ্জন মন্ডল। তাদের তড়িঘড়ি ডিএসপি মেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বিধাননগরের বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ডিএসপির আইএনটিইউসি সভাপতি রজত দীক্ষিত কারখানায় নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ তুলে বলেন, শ্রমিকরা সঠিক নিরাপত্তা পাচ্ছেন না। প্রশিক্ষণরত শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। সেজন্যই ঘটছে এই ধরনের দুর্ঘটনা। তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি। ডিএসপির ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের আইনটিটিইউসি নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে নিরাপত্তা বাড়ানোর দরকার। শ্রমিকদের সঠিক নিরাপত্তার জন্য তারা একাধিকবার কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবিও তুলেছেন। শ্রমিকদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। ডিএসপির চিফ জেনারেল ম্যানেজার বিকাশ মানবাটি জানান, খবর পেয়েই তিনি ডিএসপি হাসপাতালে পৌঁছে যান। আসেন আইনটিটিইউসি জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটকও।