দুর্গাপুর: রবিবার দুপুরে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে দুই পাড়ার মধ্যে সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের রঘুনাথপুরে। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ হয়। পুলিশের বিশাল বাহিনী ও র্যাফ গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দুই পক্ষই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।
রবিবার দুপুরে রঘুনাথপুর সর্বজনীন দুর্গাপুজোর নিরঞ্জন চলছিল। পুজো কমিটির সহ সভাপতি স্বপন তা অভিযোগ করেন, সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রশান্ত বাউড়ির নেতৃত্বে বাউরি পাড়ার কয়েকজন এসে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় চড়াও হয়। তিনি বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে প্রতিমা বিসর্জন চলছিল। পুলিশ অনুমতি দেয়নি বলে ডিজে করা হয়নি। কেন ডিজে করা হয়নি সেই প্রশ্ন তুলে মধ্যপ অবস্থায় আমাদের উপর হামলা চালায় ওরা। এলাকার মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়া হয়। প্রতিবাদে আমরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাই। অভিযুক্তদের সবাইকে গ্রেপ্তার করতে হবে।”
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
নিজেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের বোন দাবি করে পাল্টা বৃষ্টি বাউরি অভিযোগ করেন, “পুজো কমিটির লোকজন আচমকা আমার উপরে হামলা চালায়। আমাদের পাড়ার মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়া হয়। তার প্রতিবাদ করে প্রশান্ত ও অন্যরা। আমরা ওদের শাস্তি চাই।” এ বিষয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তা বলেন, “এই ধরনের ঘটনার সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে তাদের রাতের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে। সিভিক ভলেন্টিয়ার হলেও তার বিরুদ্ধেও কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন অপরাধ বরদাস্ত করা হবে না। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।