দুর্গাপুর: দুর্গাপুর উৎসবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আঁকা ব্যানার দেওয়া কাপড়ের স্টল। যা ঘিরে তুমুল বিতর্ক। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই হুঁশিয়ারি দেন, অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে দোকানে গিয়ে ভাঙচুর চালাবে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের দাবি, বাংলাদেশের কোনও নাগরিকই মেলায় স্টল দেননি। বিরোধীরা পরিকল্পনা করে বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে এই বিতর্ক ছড়াচ্ছে।
দুর্গাপুরের রাজীব গান্ধী স্মারক ময়দানে চলছে দুর্গাপুর উৎসব। মেলায় বসেছে কয়েকশো স্টল। তার মধ্যে একটি কাপড়ের স্টলে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ছবি দেওয়া ব্যানার দেওয়া হয়। ঢাকাই জামদানি, রাজশাহী সিল্ক, তাঁত সহ নানা শাড়ি রয়েছে ওই স্টলে। শনিবার সন্ধ্যায় মেলায় আসা মানুষজনের তা নজরে পড়তেই তাঁরা প্রতিবাদে সরব হয়। রাতেই ব্যানার নামিয়ে দেন দোকানদার শামসুর রহমান শেখ।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “তৃণমূল পরিচালিত দুর্গাপুর উৎসবে মেলা কমিটির মদত ছাড়া এ কাজ কেউ করতে পারে না। রাজ্যের মন্ত্রীদের বলব, অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। না হলে বিজেপি ওই দোকানে গিয়ে ভাঙচুর চালাবে। প্রতিবাদ করবে।” দোকানদার শামসুর রহমান শেখ দাবি করেন, “আমাদের পূর্বস্থলীতে বাড়ি। আধার কার্ড,প্যান কার্ড সব আছে। ভারতের শাড়ির পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে শাড়ি এনে দুপয়সা রোজকারের জন্য মেলায় আসি। বিক্রি বেশি হবে ভেবে বাংলাদেশের পতাকা আঁকা ব্যানার লাগিয়েছিলাম। আপত্তি আসায় খুলে দিয়েছি।”
পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, “দুর্গাপুর উৎসবে সব ধরণের মানুষ যোগ দিচ্ছেন। জমজমাট উৎসবে একটু চোনা ছেটানোর চেষ্টা করছে বিরোধীরা। চক্রান্ত করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা লাগিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।” মেলা কমিটির সদস্য প্রবীর ঘোষাল বলেন, “প্রচারের জন্য হয়তো তেমন ব্যানার লাগিয়েছিল। আদতে ওরা কেউই বাংলাদেশের নাগরিক নয়। ভারত সরকারের ভিসা ছাড়া কেউ আসতে পারে না।” বিতর্ক এড়াতে উৎসব কমিটি আপাতত স্টলটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।