ড্রেনের জলেই ভেসে গেল ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে তৈরি ড্রেন!

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: ড্রেনের জলেই ভেসে গেল ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে তৈরি ড্রেন! পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষ্ণুপুর গ্রামের ঘটনা। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এবং মাটি মিশিয়ে ড্রেন নির্মাণের অভিযোগ তুলে ঠিকাদারের স্বামীর কাছে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন স্থানীয়রা। সোচ্চার বিজেপি নেতাও। স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়ে কাজ বন্ধ করে পালিয়ে যান ঠিকাদারের স্বামী। ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য।
জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহ ধরে মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্থানুকূল্যে বিষ্ণুপুর গ্রামের ঘোষ পুকুর পাড়ে একটি ড্রেন নির্মাণ হয়েছে। ড্রেনের কাজ করেছিলেন মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠিকাদার মীনা চট্টরাজের ঠিকা সংস্থা। দায়িত্বে ছিলেন স্বামী অশোক চট্টরাজ। ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। দিন তিনেক আগে কাজ শেষ হয়। সেই সন্ধ্যায় হালকা বৃষ্টি হয়। তাতেই নবনির্মিত ড্রেন ভেসে যায় ওই ড্রেনের জলেই, এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
বুধবার সকালে ওই ঠিকাদার ভেঙ্গে যাওয়ার ড্রেনের কাজ করতে এলে স্থানীয়রা ঠিকাদারকে ঘিরে ধরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্থানীয়রা অভিযোগ তোলেন, “নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়েছিল। সেই জন্যই হালকা বৃষ্টির জলেই ড্রেন ভেঙে গেল। পলেস্তারাও ছেড়ে গিয়েছে। সিমেন্টের সাথে মাটি মেশানো হয়েছিল, সেটাও পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। সম্পূর্ণ ঠিকাদারের গাফিলতিতে এই অবস্থা।” বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা বিজেপি কিষান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক ভগিরথ ঘোষ ঠিকাদারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “কেন এই কাজে মাটি ব্যবহার করা হল, তার জবাব দিতে হবে। নিম্নমানের সামগ্রী কেন ব্যবহার করা হয়েছে তারও উত্তর দিতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত পঞ্চায়েতের ইঞ্জিনিয়ার আসছেন ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ করতে দেওয়া হবে না।”
যদিও ঠিকাদারের স্বামী অশোক চট্টরাজের দাবি, “সিমেন্টের সাথে মাটি মেশানো হয়নি। কোনও কারণবশত পাশের মাটি ঢুকে যেতে পারে। নিম্নমানের সামগ্রীও ব্যবহার করা হয়নি। বৃষ্টি হওয়ায় ড্রেনের কিছুটা অংশ ভেঙে গিয়েছে।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য দাবি করেন, “জনগণের টাকায় প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করলে বরদাস্ত করা হবে না। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )