সনাতন গড়াই, কাঁকসা: এক পাশে অজয় নদ। অন্যপাশে গড় জঙ্গল। ডাকাতদের উপদ্রব। সঙ্গে ভয়ঙ্কর জীবজন্তুর উপদ্রব। সদ্য গড়ে ওঠা বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দাদের নাভিশ্বাস দশা। সে প্রায় ২৫০ বছর আগের কথা। গ্রামের রায় পরিবারের এক সদস্য স্বপ্নাদেশ পেয়ে গ্রামের রায় পুকুর পাড়ে দক্ষিণা কালীর পুজো শুরু করেন। বলা হয়ে থাকে, দেবী দক্ষিণা কালীর যে রাতে পুজো শুরু হয়েছিল সেই রাতে আশ্চর্যজনক ভাবে কোনও ডাকাত বা ভয়ংকর জীবজন্তুদের দেখা যায়নি এলাকায়। গ্রামবাসীরা এবং রায় পরিবারের সকলেই বিশ্বাস করেন, মা তাঁদের অভয় দিয়ে গেলেন।
রায় পরিবারের সদস্যরা কাল বিলম্ব না করে পরদিন সকালেই গড়ে তোলেন আদি শক্তি দেবী কালিকার মন্দির। তারপর থেকে গ্রামের মানুষদের আর ডাকাত বা ভয়ঙ্কর জীবজন্তুদের মুখোমুখি হতে হয়নি বলে রায় পরিবারের একাংশের দাবি। প্রথমদিকে এই মন্দির মাটির ছিল। পরে পাকা হয়। খিচুড়ির সাথে নানা রকমের ভাজাভুজির ভোগ নিবেদন করা হয়।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
রায় পরিবারের প্রবীণ সদস্য কৃপাসিন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা শুনেছি প্রায় আড়াইশো বছর আগে আমাদেরই এক পূর্বপুরুষ স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবী দক্ষিণা কালীর আরাধনা শুরু করেছিলেন। ভোগে খিচুড়ি এবং নানা রকমের ভাজাভুজি ও ফলমূল নিবেদন করা হয়। আগে ছাগবলি দেওয়া হতো। কিছুদিন যাবত ছাগবলি বন্ধ হয়েছে। বর্তমানে চাল কুমড়ো বলি হয়। পুজোর রাতে গ্রামবাসীদের ভোগ খাওয়ানো হয়। পরদিন গ্রামের যমঘোষ পুকুরে মাকে নিরঞ্জন করা হয়।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।