কৃতী সম্মান চালু করল ডা. বি সি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, প্রথমবার কে কে পেলেন?

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের ডা. বি সি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ডা. বি সি রায় কৃতী সম্মান প্রদান করা হয় ৪ জন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষককে। তাঁরা হলেন ভিড়িঙ্গি টিএন ইনস্টিটিউশনের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তথা লেখক সুশীল ভট্টাচার্য, ডিএভি মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ ও আঞ্চলিক কর্মকর্তা পাপিয়া মুখোপাধ্যায়, নেপালি পাড়া হিন্দি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কলিমুল হক ও দুর্গাপুর আইটিআই এর ইনস্ট্রাক্টর রমেশ রক্ষিত। কলেজের দুলাল মিত্র অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিন দশম ও দ্বাদশের বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফলে সেরা ৬ জন ছাত্র ছাত্রীর হাতেও কৃতী সম্মান প্রদান করা হয়। দুর্গাপুর মহকুমার মধ্যে CBSE, CISCE, WBBSE, এবং WBCHSE বোর্ডের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় অসামান্য ফল করার জন্য তাঁদের সম্মান প্রদান করা হয়। তারা হল আরই কলেজ মডেল স্কুল থেকে দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ জাগৃতি অধিকারী, পানশিউলি হাইস্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ শ্রীপর্ণা মন্ডল, ডিএভি মডেল স্কুল থেকে দ্বাদশ উত্তীর্ণ অঙ্কিতা রজক, হেমশিলা মডেল স্কুল থেকে দ্বাদশ উত্তীর্ণ রূপকথা লায়েক, সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল থেকে দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ সায়ন্তন রায়, সেন্ট মাইকেল স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ বিতনু বিশ্বাস।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিআরইসি-র অধ্যক্ষ ড. সঞ্জয় এস. পাওয়ার। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানিত করেন ডা. বি. সি. রায় সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক তরুণ ভট্টাচার্য, সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সৈকত মৈত্র এবং সোসাইটির সদস্য অভিষেক মুখার্জি, মিতা মিত্র, অঙ্কিতা মিত্র, সাধনা সিকদার প্রমুখ। তরুণ ভট্টাচার্য বলেন, এই বছর থেকে সোসাইটির পক্ষ থেকে ডা. বি. সি. রায় কৃতি সম্মান চালু করা হল। এখন থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতীদের এই সম্মান জানানো হবে।
ডিএভি মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ পাপিয়া মুখার্জি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নম্বর দিয়ে শিক্ষার মান নির্ধারণ করা যায় না। আমরা অন্যদের সাথে কেমন আচরণ করি, সমাজে কী অবদান রাখি, কীভাবে নিজেদের প্রতিনিয়ত শিক্ষিত করে তুলি, সেটাই হল প্রকৃত শিক্ষা। চলি এবং সমাজে কীভাবে অবদান রাখি। কলিমুল হক বলেন, চ্যালেঞ্জকে ভয় পেলে হবে না। যে কোনও কাজ করার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস এবং সততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রমেশ রক্ষিত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানে সোসাইটির চারটি কলেজের অধ্যক্ষ এবং ফ্যাকাল্টিরা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। ( বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )

