দুর্গাপুর: দূষণে দিল্লিকেও হারিয়ে দিল পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুর শহর! মঙ্গলবার দিল্লিতে দূষণের গুণমান সূচক ((AQI) মাত্রা ৩৯৪ আর দুর্গাপুরে দূষণের মাত্রা ৪৫৩। চিন্তিত দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। উদ্বিগ্ন দুর্গাপুর নগর নিগম। একাধিক কারখানা বন্ধের নির্দেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের। গত কয়েকদিন ধরেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিল্প শহর দুর্গাপুরের দূষণ। দূষণের চাদরে ঢেকেছে শিল্পাঞ্চলের আকাশ।
রাজধানী দিল্লিতে দূষণের জেরে বন্ধ স্কুল, কলেজ, অফিস। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়াও নিষেধ। মঙ্গলবার সেখানে বাতাসের গুণমান সূচক ৩৯৪। অন্যদিকে, শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের বাতাসের গুণমান সূচক ৪৫৩। সন্ধ্যা নামলেই কারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বাড়ি থেকে বেরোনো তো দূরের কথা। জানালা খুললেও দম বন্ধের মত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
সম্প্রতি দুর্গাপুরের দুর্গাপুর উৎসবের খুঁটিপুজো কর্মসূচিতে গিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী দুর্গাপুরের দূষণ নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, “দুর্গাপুরের দূষণের বিষ দিল্লির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।” ওই সভায় দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারও। ঠিক তার দু’দিন পরেই দিল্লিকে ছাড়িয়ে গেল দুর্গাপুরের দূষণ।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আঞ্চলিক চিফ ইঞ্জিনিয়ার অরূপ দে বলেন, “হাওয়া না চলায় আজ দূষণ বেশি আছে। ৪০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে বাতাসের গুণমান সূচক দুর্গাপুরের কোনও কোনও জায়গায়। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের দুটি কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনটি কারখানাকে সতর্ক করা হয়েছে। দিল্লিতে আজকের পরিস্থিতি জানি না। তবে দুর্গাপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা চিন্তিত।” পুর নিগমের প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সেন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এই কথা শোনার পর আমরাও চিন্তিত। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে বৈঠক করব। কলকারখানাগুলি থেকে কালো ধোঁয়া কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব। এলাকায় এলাকায় মানুষকে সচেতন করা হবে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।