ছেলে-বৌমা দেখে না, মন্দিরের আটচালায় বসে কাঁদছেন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা মা

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: ছেলে-বৌমা দেখে না। বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন মন্দিরে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার দক্ষিণ পল্লীর দুর্গা মন্দিরের আটচালায় গত এক সপ্তাহ ধরে থাকছেন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা বেলারানী বর্মন। স্বামী শ্রীকান্ত বর্মন চাকরি করতেন বর্তমানে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা এমএএমসিতে। বেলারানী এমএএমসি হাসপাতালের আয়া ছিলেন। পরে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালের আয়া ছিলেন।
তাদের দুই ছেলে রয়েছে। ছোট ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। আর বড় ছেলে জয়ন্ত বর্মন ঘর জামাই থাকে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। এক সময় স্বামী মারা যান। বয়স বাড়ায় একদিন বেলারানীরও অবসর হয়ে যায়। তারপর বড় ছেলে জয়ন্ত বর্মনের শ্বশুরবাড়িতে বেলারানীর ঠাঁই হয়। দিন সাতেক আগে ছেলে-বৌমা মিলে তাঁকে বের করে দেয় বাড়ি থেকে, এমনই অভিযোগ বেলারানীর। অসহায় অবস্থায় তিনি দক্ষিণ পল্লীর দুর্গামন্দিরে এসে আশ্রয় নেন। মশারি, খাবার ও জলের ব্যবস্থা করছেন স্থানীয়রা।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
বেলারানী বলেন, “এলাকার কারওর সাথে কথা বলতে দিত না ছেলে আর বৌমা। আমার স্বামী কংগ্রেসের সাথে যুক্ত ছিলেন। স্বামীর সাথে যোগাযোগ ছিল রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রয়াত পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি আনন্দ গোপাল মুখোপাধ্যায়ের সাথেও। নিজে যা রোজগার করেছিলাম, সবই পরিবারের জন্য উজাড় করে দিয়েছিলাম। তবুও আজ আমার এই অবস্থা।”
সঞ্জু কুমারী নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “মাসি অনেকদিন আগে একবার এসেছিলেন এখানে। আমরা পার্টি অফিসে থাকার ব্যবস্থা করেছিলাম। তারপর তাঁর ছেলে মুচলেকা দিয়ে মাকে নিয়ে গিয়েছিল। মাসি আবার এসেছে এখানে। উনার ছেলের সাথে অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি। মাসির এই অবস্থা দেখে আমাদের খুব কষ্ট হয়।” ছেলে জয়ন্ত বর্মনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
