দুর্গাপুর দর্পণ, বুদবুদ: মাসের পর মাস জলমগ্ন হিমঘর। বিপাকে কয়েক হাজার চাষী। প্রশাসনকে জানিয়েও ফল হয়নি। অভিযোগ হিমঘর কর্তৃপক্ষের। পূর্ব বর্ধমান জেলার (Purba Bardhaman) বুদবুদের কোটা এলাকায় রয়েছে পানাগড় হিমঘর। সেখানেই এই পরিস্থিতি। ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।
পানাগড় হিমঘরের উপর এক সময় ভরসা করে থাকতেন পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা, পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম ও বুদবুদ এলাকার কয়েক হাজার চাষী। কারণ, এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল। হিমঘরটি কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর নতুন করে চালু করা সিদ্ধান্ত নেন হিমঘর কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনকে সমস্ত নথিপত্র জমা দিয়ে হিমঘরটি চালু করার চেষ্টা শুরু করার পরে তাঁরা নতুন এক সমস্যার মুখোমুখি হন।
হিমঘর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তিন বছর ধরে বৃষ্টির জলের জন্য বছরের প্রায় দশ মাস জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। তাই হিমঘরটি মেরামত করেও চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার কারণে এলাকার জল জমা হচ্ছে হিমঘরে। কোনও ব্যবস্থা করছে না প্রশাসন। কাঁকসার বিদবিহার, মলানদিঘি, সিলামপুর, কসবা, বুদবুদের মনকর, দেবশালা এলাকার আলু চাষীদের তাঁদের উৎপন্ন আলু প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যেতে হচ্ছে। তাছাড়া হিমঘর চালু হলে শুধু চাষীরা নন, অনেকের কর্মসংস্থানও হবে।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
হিমঘরের স্টোর ম্যানেজার পঞ্চানন সামন্ত অভিযোগ করেন, “বিগত তিন বছর ধরে হিমঘর চালুর চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু গোটা এলাকার জল হিমঘরের সামনে জমা হচ্ছে। ভেতরেও ঢুকে যাচ্ছে। নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এই সমস্যা। বিডিও, এসডিও, ও গ্রাম পঞ্চায়েতে একাধিকবার জল জমার সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি। চাষীদের বহু টাকা ব্যয় করে গলসির বিভিন্ন প্রান্তে হিমঘরে যেতে হচ্ছে আলু রাখতে। আমরা কোনও রকম প্রশাসনের সহযোগিতা পাচ্ছি না। সেই জন্যই সমস্যা মিটছে না।”
এক চাষী শেখ শরিফ মন্ডল বলেন, “এই হিমঘর বন্ধ থাকার ফলে চরম দুর্ভোগ চাষীদের। বাড়িতে আলু রাখতে হচ্ছে। আলু পচে যাচ্ছে। কম দামে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। হিমঘরটি চালু থাকলে লাভ হতো। দ্রুত হিমঘরটি চালু হোক, আমরা সবাই সেটা চাইছি।” এই বিষয়ে আউসগ্রাম ২ ব্লকের বিডিও চিন্ময় দাস বলেন, ” বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বিজেপি নেতা রমন শর্মা বলেন, “রাজ্য সরকার মানুষের জন্য কোনও কাজ করে না। চাষীদের সমস্যা হচ্ছে। তবুও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।” তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, বিজেপিকে ওসব নিয়ে ভাবতে হবে না। যা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশাসন নিশ্চয়ই নেবে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।