দুর্গাপুর দর্পণ, ১১ জুলাই ২০২৪: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বার বার সহবাস। যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। সন্তানের জন্ম দিলে সেই সন্তানকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের সগড়ভাঙা এলাকার যুবক সৈকত দত্তের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত তাকে বুধবার রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
অভিযোগকারী তরুণী জানান, ২০২২ সালের অক্টোবরে দুর্গাপুরের করঙ্গপাড়ার যুবক সৈকত দত্তের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। হোটেলে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি সহ অন্যান্য প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার সহবাসের জেরে তিনি ২০২৩ সালের শেষদিকে গর্ভবতী হয়ে পড়েন। সেই কথা সৈকতকে জানালে সে ফের বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। অভিযোগ, কিন্তু সে আর যোগাযোগ রাখেনি।
গত ২৬ মে তরুণী দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তরুণীর দাবি, হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর সৈকত সদ্যজাত শিশুটিকে নিয়ে তরুণীকে তার মাকে দেখানোর জন্য নিয়ে যেতে বলে। সৈকতের কথায় বিশ্বাস করে তরুণী সদ্যজাতকে নিয়ে সৈকতের কাছে যায়। সন্তানকে তার হাতে তুলে দিয়ে তরুণী বাবার কাছে ফিরে যান। ২৭ মে কোকওভেন থানার পুলিশ তাঁকে জানায়, নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। কারণ সদ্যজাত সন্তান ভর্তি আছে মহকুমা হাসপাতালে।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500 )
তরুণীর দাবি, হাসপাতালে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, সদ্যজাত সন্তানকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার দিব্যেন্দু চ্যাটার্জী নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কান্নার শব্দ পেয়ে ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানান। তারপরেই পুলিশ ওই সদ্যোজাত সন্তানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তরুণীর দাবি, তিনি সৈকতের বাড়িতে প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাঁকে সৈকতের মা অপর্ণা বলেন, ছেলে যা করেছে বেশ করেছে। এরপর বাড়িতে এলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।
সন্তান কিছুটা সুস্থ হলে ১৫ জুন শিশু সুরক্ষা কমিটি তাকে নিয়ে চলে যায় বলে জানতে পারেন তরুণী। তিনি শিশু সুরক্ষা কমিটির কাছে একাধিকবার আবেদন করার পরেও সন্তানকে ফিরে পাননি বলে অভিযোগ তরুণীর। শেষ পর্যন্ত দুর্গাপুর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। বুধবার রাতে সৈকতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হাজতে পাঠান। জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, পরিত্যক্ত শিশুকে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে নিজেদের তত্বাবধানে নেয় শিশু সুরক্ষা কমিটি। শিশুর প্রকৃত মা কে সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে থানার কাছে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।