সনাতন গড়াই, দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪: বহুতল আবাসন নির্মাণের ক্ষেত্রে দমকলের অনুমতি পেতে দীর্ঘ সময় লাগে প্রোমোটারদের। এমন অভিযোগ থেকেই দালালদের দিয়ে দমকলের অনুমতি নিতে বাধ্য হয় প্রোমোটাররা। দমকল কর্মীদের একাংশের সঙ্গে ‘অশুভ আঁতাত’ গড়ে মোটা টাকার বিনিময়ে সেই অনুমতি পাইয়েও দেয় দালালরা। এভাবেই রাজ্যজুড়ে চলে দালাল রাজ।
সেই দালাল রাজ ঠেকাতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ নবনিযুক্ত দমকলের ডিজি সঞ্জয় মুখার্জির। মঙ্গলবার বিকেলে পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের দমকল দফতর পরিদর্শনে এসে ডিজি জানান, দমকলে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার জন্য আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে সমস্ত কাগজ খতিয়ে দেখে বহুতল নির্মাণকারী সংস্থার হাতে দমকলের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছেন। কোনও সমস্যা থাকলে সরাসরি দমকলের আধিকারিকরা কথা বলছেন নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে। কম সময়ে দমকলের আবেদন পেলেই নির্মূল হবে দালাল রাজ। তিনি জানান, বহুতল আবাসন নির্মাণের ক্ষেত্রে কী কী করণীয় তা মানুষের কাছে তুলে ধরতে বই বের করা হয়েছে।
অগ্নি নির্বাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, দ্রুত আগুন নেভানোর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। বহুতলে অগ্নিসংযোগ ঘটলে দ্রুত নেভানোর জন্য ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ড্রোন ব্যর্থ হলে রোবটের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া অলি গলিতে পৌঁছে যাচ্ছে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র লাগানো দমকলের অত্যাধুনিক বাইক। তিনি আরও জানান, শুধু হাইড্রোলিক ল্যাডারই পারে না বহুতলে আগুন নেভানোর কাজ করতে। বহুতল আবাসন করার সময় আবাসনের মধ্যেই আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে হয়। তবেই অনুমতি দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে সাহায্য নেওয়া হয় বিশেষজ্ঞ কমিটির। সেই বিশেষজ্ঞ কমিটি কলকাতা সহ রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই পরিদর্শন করে কয়েক মাস অন্তর। দুর্গাপুরে সেই বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠক হয় এ দিন। সেই বিশেষজ্ঞ কমিটিকে একাধিক পরামর্শও দেন তিনি। অনেক আবেদনকারীর সাথেও কথাও বলেন তিনি। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।