দুর্গাপুর দর্পণ, ৫ জুন ২০২৪: ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) জ্বলে গেল পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মহুয়াবাগানে ফিরোজা খাতুনের সেলাইয়ের দোকান। শুধু তাঁর নয়, তাঁর দোকানে যাঁরা কাজ করতেন সেই সব মহিলাদেরও রোজগার বন্ধ হয়ে গেল। ফিরোজার বাবা মহম্মদ আলি শেখ লোকসভা নির্বাচনে মহুয়া বাগান এলাকায় সিপিএমের বুথ এজেন্ট ছিলেন।
এলাকার বেকার মহিলাদের নিয়ে সেলাইয়ের দোকান খুলে তাঁদের রোজগারের দিশা দেখিয়েছিলেন ফিরোজা খাতুন। ভোট পরবর্তী হিংসায় জ্বলে গেল সেই দোকানই। লোকসভা নির্বাচনে মহুয়া বাগান এলাকার সিপিএমের পোলিং এজেন্ট ছিলেন ফিরোজার বাবা, সেই অপরাধেই ফিরোজার দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
আলি শেখের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই নানা ভাবে হুমকি দিত তৃণমূলের লোকেরা। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ঠিক পরেই রাতে জ্বালিয়ে দেওয়া হল মেয়ের দোকান। তিনি জানান, ঋণ করে চারটি সেলাই মেশিন কিনেছিলেন ফিরোজা। পাড়ার কয়েকজন মেয়ে সেলাইয়ের দোকানে কাজ করে রোজগার করতেন। তিনি বলেন, ফিরোজা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তা সত্বেও তার দোকান জ্বালিয়ে দিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
ফিরোজা বলেন, আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। আমার দোকান জ্বালিয়ে দিল। আমি ও আমার সঙ্গে যারা কাজ করে, সবাই অথৈ জলে পড়ে গেলাম। ঋণ নিয়ে মেশিন কিনেছি। কিভাবে মাথা তুলে দাঁড়াবো ভেবে কুল পাচ্ছি না। এ বিষয়ে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল এই ধরণের কাজ করতেই পারে না। এই কাজ বিজেপির। আমাদের প্রতিনিধি দল এলাকায় এলাকায় পৌঁছে যাবে। যারা এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে বলা হবে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।