সনাতন গড়াই, দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ১৮ মার্চ ২০২৪: ‘ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে’, কবিগুরুর এই গান মনে করিয়ে দেয় বসন্তের সকালের কথা। রাঢ়বাংলার গ্রামগুলিতে, পাতা ঝড়ার মরশুমে জঙ্গলের পর্যটনকেন্দ্রগুলিতেও জমে ভিড়। আর সেই সবুজে ঘেরা ঘন জঙ্গলে দুষ্কৃতীরা শুকনো পাতায় আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই প্রবণতা বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই আউশগ্রামের একাধিক এলাকা ও কাঁকসায় মাইকে করে সচেতনতা প্রচার শুরু করা করেছে বন দফতর।
পূর্ব বর্ধমান বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, লাগাতার প্রচার ও নজরদারি চালানোর সঙ্গে একাধিক পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। দুই বর্ধমানের মধ্যে সব থেকে বেশি জঙ্গল কাঁকসা ও আউশগ্রাম এলাকায়। বর্ধমান ডিভিশনের মধ্যে পড়ে কাঁকসা বনাঞ্চল। কাঁকসা ছাড়াও আউশগ্রামের জঙ্গলও এই ডিভিশনের মধ্যে পড়ে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই অঞ্চলে জঙ্গলের পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার হেক্টরের বেশি। জঙ্গলে ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানোর প্রবণতা থাকে এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে। অনেক সময় দুষ্কৃতীরাও আগুন ধরিয়ে গাছগুলিকে জ্বালিয়ে দেয়। তারপর সেই মরা গাছ লুকিয়ে কেটে বিক্রি করে দুষ্কৃতীরা।পাতা ঝরার মরসুম শুরু হতেই জঙ্গলে আগুন লাগানো রোধ ও বন্যপ্রাণীদের চোরাশিকার রুখতে আউশগ্রাম বিটের রামচন্দ্রপুর, আলেফনগর, পানাগড় রেঞ্জের কাঁকসা, দেবশালা অঞ্চলে নিয়মিত প্রচার চালানো শুরু হয়েছে। নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। কী সেই পদক্ষেপ? পানাগড় রেঞ্জের আধিকারিক প্রণবকুমার দাস, দুর্গাপুর রেঞ্জের আধিকারিক সুদীপ ব্যানার্জি জনান, সচেতনতা বাড়াতে ক্রমাগত প্রচার চালানো হচ্ছে। এলাকার মানুষদের সঙ্গে মিটিং করা হচ্ছে। ব্লোয়ার দিয়ে রাস্তা থেকে শুকনো পাতা সরানো হচ্ছে, যাতে আগুন না লাগে। আগুন লাগলেও তা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য ‘ফায়ার লাইন’ করা হচ্ছে।
( রাজেন্দ্র একাডেমি ফর টিচার্স এডুকেশন। NAAC স্বীকৃত শিক্ষক প্রশিক্ষণের সেরা প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ- 0343-2538468 )
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ফায়ার লাইন’ মানে প্রায় ১০ ফুট চওড়া করে ঘাস, পাতা চেঁচে পরিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে একদিকে আগুন লাগলে তা অন্য দিকে ছড়িয়ে পরার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যরা জঙ্গলের আশপাশের গ্রামগুলিতে পালা করে মাইকে প্রচার করছেন। অনেক জায়গায় নাকা-তল্লাশির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। অনেকে নানা কাজে জঙ্গলে যান। যাতে দেশলাই জাতীয় কোনও কিছু নিয়ে যেতে তাঁরা না পারেন, সেদিকেও নজরে রাখছে বন দফতর। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।