সনাতন গড়াই, দুর্গাপুর: জঙ্গলে খাবারের অভাব। খাবারের সন্ধানে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে আসছে শিয়ালের দল। হাঁস, মুরগি, ছাগল ছানা দেখলেই ধরে নিয়ে যাচ্ছে। দুর্গাপুর-ফরিদপুর ও কাঁকসার বিভিন্ন প্রান্তের জঙ্গলে রয়েছে বহু শিয়াল। নিশাচর প্রাণী শিয়ালের প্রধান খাদ্য ভুট্টা, শাকসবজি, ইঁদুর, খরগোশ, মৃত প্রাণীর দেহ, কাঁকড়া প্রভৃতি। তবে খাবারের সংকট দেখা দিলে মূলত জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে খাবারের সন্ধানে উঁকি মারতেও দেখা যায়।
পরিবেশবিদরা বলছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ফাল্গুন থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত দুর্গাপুর-ফরিদপুর ও গড় জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সেই আগুনে চরম ক্ষতি হচ্ছে জঙ্গলের পরিবেশের। জঙ্গলে খাবারের সঙ্কট তৈরি হওয়ায় খাবারের খোঁজে রাত বাড়লেই লোকালয়ে আনাগোনা বাড়ছে শিয়ালের। ফলে আতঙ্কও বাড়ছে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়।
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
কাঁকসার আকন্দারার পরিবেশপ্রেমী অশোক রায় বলেন,”আমি প্রতিনিয়ত দেশীয় গাছ বাঁচানোর চেষ্টা করি। বাড়িতে চারাগাছ তৈরি করে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ও কাঁকসা ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে রোপন করি। দেশীয় ফল গাছ না বাঁচলে পশুপাখিদের খাবারের চরম সংকট দেখা দেবে। পাশাপাশি, জঙ্গলে আগুন লাগালে কী কী ক্ষতি হতে পারে তা নিয়েও সচেতন করি। গাছ যাতে না কাটা হয় তা নিয়েও প্রচার চালাই।” বন দফতরের আধিকারিকরা বলেন, “আমরা পাড়ায় পাড়ায় সচেতন করছি। গাছ চুরি রুখতে আর বন্য জীবজন্তুদের সুরক্ষিত রাখতে পাড়ায় পাড়ায় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। জঙ্গলের ভেতর অবাধ যাতায়াত বন্ধ করতে চলে নাকা চেকিং। চোরাশিকার ও গাছ কাটা হলে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।