দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ৯ জুলাই ২০২৪: সরকারি খাস জমি বেদখল। পঞ্চায়েতের তরফে সেই জমি দখল করে বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেও দুই জমি মাফিয়া সেই বোর্ড উপড়ে ফেলে দেয়। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের কাঁকসার গোপালপুরে।
মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সরকারি জমিতে অবৈধ কাজ করতে দেওয়া যাবে না। সরকারি জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু গোপালপুরে সেই বার্তা বোধ হয় এখনও এসে পৌঁছায়নি! সম্প্রতি গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভালুককোন্দায় কয়েক বিঘা সরকারি জমি চিহ্নিত করে বোর্ড লাগায় গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। সেই দিনেই উধাও হয়ে যায় সরকারি জমি চিহ্নিতকরণের বোর্ড।
( BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
নাটকের তখনও অনেক বাকি ছিল। কয়েকজন দলিল নিয়ে সটান পঞ্চায়েত কার্যালয়ে এসে দাবি করে, এ জমি তাদের। পঞ্চায়েত সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানায়। গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ মণ্ডল বলেন, গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও কাঁকসার ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্মীরা সেই সরকারি জমি মাপজোক করে সরকারি বোর্ড লাগিয়ে দেয়। এর পিছনে কারওর ইন্ধন আছে বলেই সরকারি বোর্ড ভেঙে দিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে এসে দলিল দেখিয়ে জমি তাদের বলার সাহস পায়।
তিনি জানান, ওই জমির রেকর্ড নেই ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের পোর্টালে। দলিল অনেক সময় ভুয়ো হয় তাই তাদের রেকর্ড দেখাতে বলা হয়েছে। পুলিশকেও জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে গিয়েছে। কাঁকসার বিজেপি নেতা ইন্দ্রজিৎ ঢালী বলেন, “যদি সত্যিই সরকারি জমি হয়ে থাকে তাহলে যারা এই কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন। কোন প্রভাবশালীর হাত রয়েছে কিনা সেই বিষয়টি নিয়েও তদন্ত করা হোক।” কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য জানান, এলাকার দুই জমি মাফিয়া দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি দখল করার চেষ্টা করছে। তাদের প্রতিহত করা হয়েছে। যেখানে যত সরকারি জমি আছে সব বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।