দুর্গাপুর দর্পণ, ৩০ মে ২০২৪: চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে পায়ে পচন ধরেছে আদিবাসী যুবকের। ১০ বছর আগে সাপে কামড়েছিল। সঠিক চিকিৎসার অভাবে কার্যত অথর্ব হওয়ার পথে পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) বিদবিহারের অজয় পল্লীর সুফল বাস্কে। কাঁকসা ব্লক প্রশাসন তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।
সুফল জানান, জমিতে চাষ করার সময় চন্দ্রবোড়া সাপ বাঁ পায়ে কামড়ে দেয়। শরীরে বিষ ছড়িয়ে যাওয়া রুখতে তিনি গামছা ছিঁড়ে পায়ে বাঁধন দেন। প্রতিবেশীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সঠিক চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ। পায়ে পচন ধরতে থাকে। এখন আর ভালো করে চলতেই পারেন না তিনি। সরকারি সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছেন তিনি।
( Dr. BC Roy Engineering College & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ- 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472
সুফল বলেন, দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতাম। ১০ বছর আগের ঘটনা। এলাকার ধান চাষের জমিতে দিনমজুরের কাজ করতে গিয়েছিলাম। কাজ শুরু করতেই বিশাল চন্দ্রবোড়া সাপের দংশন। প্রথমে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পরে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কয়েকদিন চিকিৎসা চলার পর চিকিৎসকেরা আমায় জানান, পায়ে শক্ত বাঁধনের জন্য রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে শিরা-উপশিরাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কলকাতার পিজিতে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
তিনি জানান, আর্থিক সংকটের কারণে যেতে পারেননি। হতাশ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। বেসরকারি নার্সিংহোমে বেশ কয়েকবার গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে। কয়েক বছর সুস্থ ছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে বাঁ পায়ে পচন ধরতে থাকে। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে তিনি। দুই সন্তান, বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী রয়েছেন। স্ত্রী এখন দিনমজুরের কাজ করে যেটুকু উপার্জন করেন, তাতেই কোনরকমে চলছে সংসার। কাঁকসা ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানান, ওই পরিবারকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে সুফলের। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।