দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত সন্ধিপুর

দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত সন্ধিপুর
WhatsApp Group Join Now

দুর্গাপুর দর্পণ, বুদবুদ, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩: গ্রাম্য বিবাদকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) বুদবুদ থানার সন্ধিপুর গ্রাম। দফায় দফায় সংঘর্ষ. ভাঙচুর পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি। জখম তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য হাসপাতালে ভর্তি। আহত বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি দোকানও। বালি ঘাটের দখল নিয়ে তৃণমূলের বিবাদ, দাবি বিজেপির।

ঘটনার সূত্রপাত সোমবার মকর স্নান নিয়ে। অভিযোগ, স্থানীয় ডিভিসি ক্যানেলে মকর স্নান করতে গিয়ে বুদবুদ পঞ্চায়েতের সদস্য তপন বাগদির উপর হামলা করেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। অভিযোগ, সাময়িক বিবাদ মিটলেও তপন বাগদির সন্ধিপুরের বাড়িতে সন্ধ্যায় ফের চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় বাড়িতে। মঙ্গলবার সকালেও চলে হামলা। আশেপাশের তৃণমূল কর্মীরা ঠেকাতে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের মধ্যে পাথর ছোড়ার ঘটনাও ঘটে।

তপন বাগদির স্ত্রী পদ্মা বাগদি বলেন, ‘‘ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের লোকজন ভাঙচুর চালিয়েছে। আমার স্বামীকে ব্যাপক মারধর করে। ভাঙচুর চালানো হয় ঘরে। আমার স্বামী হাসপাতালে ভর্তি।” খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি (কাঁকসা) সুমন কুমার জয়সওয়াল বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ‘‘পাড়াগত কোনও বিবাদ। অভিযুক্তরা সবাই পলাতক। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি রমণ শর্মা বলেন, ‘‘বালি ঘাটের দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব।” যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দুই-তিন ধরে পাড়ার মধ্যে বিবাদ চলছিল। এই বিবাদকে অন্য দিকে ঘোরাতে চাইছে বিরোধীরা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশ তদন্ত করছে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!