রবীন্দ্র জয়ন্তীতে তীর ধনুক নিয়ে সেনার পাশে থাকার শপথ আদিবাসীদের

সনাতন গড়াই, দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা: হাতে তীর ধনুক, আর মুখে ভারত মাতার জয়ধ্বনি। রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতির সামনে দাঁড়িয়ে ভারতীয় সেনার পাশে থাকার শপথ আদিবাসীদের। রাজ্যের নজিরবিহীন রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার কাঁকসার জঙ্গলমহলে।
কবি বলেছিলেন, মুক্ত করো ভয়, আপনার মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়। বিশ্বকবির এই বার্তা মিশে গেল যুদ্ধ অবহে। শুক্রবার দেশের প্রতিটি প্রান্তে পালিত হচ্ছে সগৌরবে রবীন্দ্র জয়ন্তী। কিন্তু কাঁকসার জঙ্গলমহলে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন হল একটু অন্যভাবে। জঙ্গলমহলের মাঝে চুয়া আদিবাসী পাড়ায় যুবকরা জাতীয় পতাকা নিয়ে বিশ্বকবির পথিকৃতিতে মাল্যদান করেন। তারপরেই তারা ভারতীয় সেনা জিন্দাবাদ স্লোগান দেন। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়।
এলাকার আদিবাসী যুবকরা বলেন, বর্বরোচিত পাকিস্তানের কর্মকাণ্ডের যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। ভারত মায়ের অনেক বীর সন্তানকেও প্রাণ বলিদান দিতে হচ্ছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছিলেন দেশপ্রেম। তাই তাঁর জন্মদিনে তাঁর স্মৃতিতে মাল্যদান করে আমরাও দেশের সেনাবাহিনীর পাশে থাকা শপথ গ্রহণ করছি। সেই জন্যই আমরা তীর ধনুক, বল্লভ হাতে ধরেছি। আমাদের যদি কখনও প্রয়োজন হয়, আমরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত ভারতীয় সেনার পাশে থাকতে প্রস্তুত।
স্বরূপ আঁকড়ে নামের এক যুবক বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দেশপ্রেম জাগ্রত করে। আমরা তাই আজ বিশ্বকবির জন্ম জয়ন্তী একটু অন্যভাবে পালন করলাম। আমরা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করলাম। তারপরেই শপথ নিলাম ভারত মায়ের পাশে থাকার। আমাদের পাশেই রয়েছে পানাগড় বায়ুসেনার ঘাঁটি। আমাদের দরকার পড়লে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব।” আরেক যুবক জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনা যে লড়াই লড়ছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমাদের যদি কোন কাজে লাগে তাহলে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়তে রাজি আছি। রবীন্দ্রজয়ন্তীতে আজ আমরা এই শপথ নিলাম। সেজন্যই জাতীয় পতাকার তলায় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করলাম।”
(BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
(বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)

