দুর্গাপুর দর্পণ, ২৯ জুন ২০২৪: প্রায় ১৯ লক্ষ টাকার অভিনব প্রতারণা! ওড়িশা থেকে দম্পতি গ্রেফতার। পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের কাঁকসা থানার পুলিশের হাতে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সমীর কুমার নায়েক ও কল্পনা দেবী। শনিবার তাদের দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয়। কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পানাগড়ের গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী মনপ্রীত সিং। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমেই পুলিশ ওড়িশা থেকে ওই দুই জনকে গ্রেফতার করে আনে। তাদের জেরা করে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করবে পুলিশ। এবং, তাদের সঙ্গে আরও কেউ জডিত কি না সেটাও খোঁজ নিয়ে দেখবে পুলিশ। অভিযুক্তরা গ্রেফতার হওয়ায় কাঁকসা থানার পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন মনপ্রীত সিং। তাঁর আশা, পুলিশ ওই দম্পতির কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
মনপ্রীত সিং জানিয়েছেন, সমীরের সঙ্গে আগেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল তাঁদের। মাঝে মাঝে তাঁর কাছ থেকে গাড়ির যন্ত্রাংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৩ সালের মে মাসে পরিস্থিতি বদলে যায়। ওড়িশার একটি বন্ধ সংস্থার কাছ থেকে যন্ত্রাংশ নিয়ে তা পানাগড়ে মনপ্রীতের কাছে পাঠানোর কথা ছিল সমীরের। সেজন্য ওড়িশার তালচের আদালতে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। সেদিনই ২ লক্ষ টাকা মনপ্রীতে সমীরকে দেন। পরে খেপে খেপে মোট প্রায় ১৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা তিনি দেন সমীরকে। মনপ্রীতের অভিযোগ, টাকা পেয়েও যন্ত্রাংশ না পাঠানোয় তিনি ওড়িশা চলে যান। প্রতিদিন তাঁকে যন্ত্রাংশ দেওয়ার কথা বলতে থাকেন। কিন্তু সমীর সাড়া দেয়নি। মনপ্রীত বলেন, আমি ওর হাতে পায়ে ধরি। কিন্তু উনি যন্ত্রাংশ দেননি। এরপর আমাকে ভয় দেখাতে থাকে, হুমকি দিতে থাকে। আমি প্রায় ৮মাস কাটিয়ে ফিরে আসি পানাগড়ে। এরপর চুক্তির কপি দিয়ে আমি কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ জানাই।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
মনপ্রীত জানান, তাঁকে সমীর বলেছিল, বন্ধ সংস্থার সঙ্গে তার আদালতে চুক্তি হয়েছে। কাজেই ওই সংস্থার যন্ত্রাংশের মালিক সমীর। কিন্তু ওড়িশা যাওয়ার পরে সমীর তাঁকে এমন কোনও কাগজ দেখাতে পারেনি। তখনই তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি জানান, খোঁজ নিয়ে তিনি বুঝতে পারেন, সমীর ওখানে দাদাগিরি করে কারবার চালায়। মনপ্রীত বলেন, বন্ধ সংস্থা থেকে গায়ের জোরে যন্ত্রাংশ তুলে আমাকে পাঠাবার পরিকল্পনা ছিল সমীরের। কিন্তু কোনও কারণে ও সফল হচ্ছিল না। আমাকে চরম প্রতারণা করেছে। তাই বাড়ি ফিরে আমি পুলিশের কাছে যাই। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে। আশা করি এবার আমার সমস্যা মিটবে। চুক্তিপত্রটি আমার কাছে ছিল। সেটিই প্রমাণ হিসাবে দাখিল করি থানায়। এরপরেই পুলিশ অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
ESSAR GAS: গ্যাস উত্তোলক সংস্থায় বিরাট চুরি, দুষ্কৃতী ধরতে এ কোথায় গেল পুলিশ?
(বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।