দুর্গাপুর দর্পণ, ৩০ মে ২০২৪: বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের ভোট হয়ে গিয়েছে ১৩ মে। এই কেন্দ্রের প্রার্থীরা নিজের ভোট মেটার পরে গিয়েছিলেন অন্য কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রচারে। শেষ পর্বের ভোট ১ জুন। নজর ৪ জুনের ফলাফলের দিকে। তার আগে এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ বুধবার গিয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) পানাগড়ের পানাগড় ক্ষেত্রপাল মন্দিরে।
সেখানে গিয়ে পূজার্চনায় মেতে ওঠেন কীর্তি আজাদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “মূলত ভৈরব মূর্তির এই দেবতাকে অনেকেই লৌকিক শিবের একটি রুদ্র রূপ হিসেবে কল্পনা করেন। ক্ষেত্রপাল কোথাও মূর্তির আকারে কোথাও বা শিলার আকারে পূজিত হন। মঙ্গলকাব্যগুলিতে শিব স্বয়ং কৃষিকার্যে নিযুক্ত হয়েছিলেন। যজুর্বেদের শতরুদ্রীয় স্তোত্রে রুদ্রকে ক্ষেত্রপতি বলা হয়েছে। তন্ত্রশাস্ত্রে শিবের একটি নাম ক্ষেত্রপাল বা ক্ষেত্রেশ। সুতরাং ক্ষেত্রপাল যে শিবেরই রূপান্তর, তাতে সংশয় নেই। তথাপি কেউ কেউ ক্ষেত্রপালকে অনার্য দেবতা বলে সিদ্ধান্ত করেছেন৷ ক্ষেতরক্ষক, যিনি ক্ষেত রাখেন তিনিই ক্ষেত্রপাল। ক্ষেত্রপাল মূলত ভূমিরক্ষক এবং কৃষির লৌকিক দেবতা হিসেবে পূজিত হন। বৌদ্ধ মহাযানীদের মধ্যেও ক্ষেত্রপালের পুজো প্রচলিত ছিল।
( Dr. BC Roy Engineering College & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ- 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
বর্ধমান জেলার সর্বাধিক পরিচিত ক্ষেত্রপাল মন্দিরটি আছে পানাগড় মিলিটারি ক্যাম্পে। বহু পুরনো একটি তেঁতুলগাছের নীচে ক্ষেত্রপাল মন্দিরটি অবস্থিত। ক্ষেত্রপাল এখানে প্রস্তরখণ্ড রূপে আছেন। প্রথমে ক্ষেত্রপালের অবস্থান ছিল খোলা আকাশের নীচে। বর্ধমান রাজপরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষেত্রপালের মাথার উপর একটি ধাতুনির্মিত ছাতার মতো ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়। মন্দির হয়েছে বহু পরে।” কীর্তি আজাদ বলেন, “সকলের মঙ্গল কামনার্থে আজ মন্দিরে পুজো দিলাম।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।