
দুর্গাপুর দর্পণ ডেস্ক, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩: রাত পোহালেই ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। নানান অনুষ্ঠান হবে দিনভর। তেমন কোনও অনুষ্ঠানে ডাক পেয়ে হয়তো আপনাকে বক্তব্য রাখতে হতে পারে। তাই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে নিন। একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য (Republic day speech) রয়েছে এখানে।
১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়। এই সংবিধানের মাধ্যমে ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। দিনটি আমাদের কাছে অত্যন্ত গৌরবের দিন। এই দিনে আমরা আমাদের দেশ স্বাধীন করার পিছনে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের আমরা শ্রদ্ধা জানাই। প্রজাতন্ত্র দিবস ঘিরে সারা দেশে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে সব রাজ্যের রাজধানী ও বড় শহরে। যেমন, কলকাতার রেড রোডে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান ও কুচকাওয়াজ করা হয়। তবে মূল অনুষ্ঠানটি হয় রাজধানী দিল্লিতে। ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, বিএসএফ, আইটিবিপিসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এদিন সেখানে বিশেষ কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে থাকে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ।
এই দিনে দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। নানান দেশাত্মবোধক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন সন্ধ্যায় অর্থাৎ ২৫ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন দেশের রাষ্ট্রপতি। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে তেমন কেউ না কেউ প্রতিবছর উপস্থিত থাকেন।
২৬ জানুয়ারি একসময় ছিল ‘স্বতন্ত্রতা সংকল্প দিবস’। পরে তা হয় স্বাধীনতা দিবস। শেষ পর্যন্ত ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি তা হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী ২৬ জানুয়ারি দিনটিকে ‘স্বতন্ত্রতা সংকল্প দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। ১৯২৯ সালের শেষদিকে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে পূর্ণ স্বরাজ আনার শপথ নেওয়া হয়। এরপর ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস বলে ঘোষণা করা হয়।
শেষ পর্যন্ত ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট আমাদের দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। তখন ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা পায়। এদিকে দেশ স্বাধীন হলেও দেশের নিজস্ব সংবিধান তখনও তৈরি হয়নি। সংবিধান তৈরি হতে হতে কেটে যায় আরও আড়াই বছর। শেষ পর্যন্ত ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি সংবিধান কার্যকর করা হয়। ২৬ জানুয়ারি দিনটিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই দিন স্বাধীনতা সংগ্ৰামীদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। আসলে এই দিন আমরা গনতন্ত্রের উদযাপন করে থাকি। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স নির্বিশেষে সবাই আমরা এই উৎসবে সামিল হয়ে থাকি। আমাদের সবার উচিত গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দৃঢ় রেখে বহু শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে রক্ষা করা। জয় হিন্দ।(বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
#RepublicDay2024