
সংকল্প দে, দুর্গাপুর দর্পণ, তমলুক: “জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে বাড়ির লোকজন। তুমি যত তাড়াতাড়ি পারো এসে আমায় নিয়ে যাও।” প্রেমিকার সেই কাতর আর্তি শুনে আর দেরি করেনি প্রেমিক। তবু শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের কাছে গিয়েও জুটল ধমক। কারণ, প্রেমিকা যে নাবালিকা! শেষমেশ থানার সামনেই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলল প্রেমিক।
নাটকীয় এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) তমলুক থানার খারুই ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়রামচক গ্রামে। বছর খানেক আগে বছর ২৩ এর কমলেশ চন্দ্রের প্রেম হয় পাশের গ্রামের এক নবম শ্রেণীর ছাত্রীর সঙ্গে। দুজনে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু পাত্রী যে নাবালিকা। কমলেশ পেশায় ফুলের কারিগর। সে জানায়, বছর তিনেকের জন্য রাজস্থান চলে যাচ্ছে। সেখানে সে ফুলের কাজ করবে। ততদিনে পাত্রী সাবালিকা হয়ে যাবে। ফিরে এসে দুজনে বিয়ে করে সুখে ঘর সংসার করবে।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
রাজস্থানে গিয়ে কমলেশের সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু আচমকা প্রেমিকার একটা ফোনে সব কেমন বদলে গেল! বাড়ির লোকজন জোর করে তাকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। দিন দুয়েক আগে ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কমলেশ। কিন্তু রাস্তায় ট্রেন লেট। গ্রামের বাড়ি পৌঁছানোর আগেই প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে হতাশ কমলেশ মাকে টোটোয় চড়িয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সটান চলে যায় তমলুক থানায়। উল্টে সেখানে থানার ডিউটি অফিসার ধমক দিলেন, কেন সে নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছে?
এরপরেই অসহায় কমলেশ থানার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে। তার কথায়, নাবালিকা বলেই তো সে তিন বছরের সময় চেয়ে নিয়ে রাজস্থানে চলে গিয়েছিল। এর মধ্যে বাড়ি ঘর তৈরি করে ফেলার পরিকল্পনা ছিল। কারণ, বিয়ের পরে সে প্রেমিকাকে সুখে রাখতে চায়। কিন্তু দিন দুয়েক আগে কাঁদতে কাঁদতে প্রেমিকা তাকে ফোন করে জানায়, তার বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। খবর পেয়েই বেরিয়ে পড়েছিল কমলেশ। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। থানায় গিয়েও ফল হল না! (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।
