এক তৃতীয়াংশ খরচে কোলন ক্যান্সারের ‘পেনলেস’ সার্জারি মিশন হাসপাতালে

এক তৃতীয়াংশ খরচে কোলন ক্যান্সারের ‘পেনলেস’ সার্জারি মিশন হাসপাতালে
WhatsApp Group Join Now

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: হায়দ্রাবাদের একটি নামকরা বেসরকারি হাসপাতালে ৪২ বছর বয়সী একজনের ডানদিকের কোলনে কার্সিনোমা (carcinoma) ধরা পড়ে। সেখানে চিকিৎসার খরচ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই তিনি বাড়ি ফিরে দুর্গাপুরের দ্য মিশন হাসপাতালে চিকিৎসা করাবেন বলে ঠিক করেন। মিশন হাসপাতালে তিনি এলে তাঁর পকেটের কথা মাথায় রেখে তাঁকে প্রথমে ডানদিকের ওপেন হেমিকোলেক্টমি (hemicolectomy) করার  প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু রোগী বিকল্প কিছু করার আর্জি জানান। তখন মাত্র এক তৃতীয়াংশ খরচে মিনিম্যালি ইনভেসিভ (ল্যাপারোস্কোপিক) করার প্রস্তাব দেন চিকিৎসকেরা।

পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়নের পর, তাঁর ল্যাপারোস্কোপিক ডান হেমিকোলেক্টমি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যেমন ক্যান্সারযুক্ত অংশটি সঠিকভাবে অপসারণ করা সম্ভব হয়, তেমনই অস্ত্রোপচার পরবর্তী অস্বস্তি এবং জটিলতাও প্রায় থাকে না। এই পদ্ধতির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, রক্ত ​​সঞ্চালন, রক্তক্ষরণ এবং সঞ্চালন-সম্পর্কিত জটিলতার ঝুঁকি খুব কম। হাসপাতালের চিকিৎসক ড. বিজিত সাহা জানান, সাফল্যের সঙ্গে ওই রোগীর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। অস্ত্রোপচারের পরে দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন রোগী। মিনিম্যালি ইনভেসিভ অস্ত্রোপচারে যেহেতু ন্যূনতম ব্যথা হয়, সংক্রমণের আশঙ্কা প্রায় থাকে না, তাই রোগীকে অস্ত্রোপচারের মাত্র তিন দিন পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়। দ্রুত তিনি তাঁর স্বাভাবিক রুটিনে ফিরতে শুরু করেন।

(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)

কোলোরেক্টাল ক্যান্সার চিকিৎসায় ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির এটাই সবচেয়ে ইতিবাচক দিক। চূড়ান্ত হিস্টোপ্যাথলজি রিপোর্টে তৃতীয় পর্যায়ের কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ে। অস্ত্রোপচার পরবর্তী দ্রুত আরোগ্য লাভের ফলস্বরূপ অস্ত্রোপচারের মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে কেমোথেরাপি শুরু করা সম্ভব হয় যা সমস্যার পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি কমাতে নিশ্চিত ভূমিকা নেয়। তৃতীয় পর্যায়ের কোলন ক্যান্সারের রোগীদের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা নিশ্চিত করতে শুরুতেই কেমোথেরাপির প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। তাই দ্রুত মিনিম্যালি ইনভেসিভ অস্ত্রোপচার করে ফেলা দরকার। তবেই কেমোথোরাপি শুরুর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। ”কম খরচে, ন্যূনতম যন্ত্রণাদায়ক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে পেরে আমরা খুশি”, বলেন ড. বিজিত সাহা। রোগী বলেন, “হায়দ্রাবাদের হাসপাতালে খরচের বহর শুনে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।” হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এবং হেপাটোবিলিয়ারি-প্যানক্রিয়াটিক জটিলতার ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা পদ্ধতি সত্যিই তুলনাহীন।

আরও খবর

error: Content is protected !!