সনাতন গড়াই, কাঁকসা: আবাস দুর্নীতি নিয়ে সরগরম রাজ্য। শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ। অথচ, আজও এক চিলতে ভাঙা ঘরে থাকেন মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান পাকুমনি সোরেন! কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম ঘটকডাঙায় তাঁর বাড়ি। প্রতিদিন শাল পাতা সেলাই করে শুরু হয় দিন। তারপর বাসে চেপে পঞ্চায়েতে পৌঁছান। দিনভর শোনেন মানুষের সমস্যার কথা। পরিষেবা দেন। ছেলে, মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে থাকেন টালির ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়িতে। দেওয়ালে বড় বড় ফাটল। টালির চালে ফুটো। ত্রিপল দিয়ে ঢাকা। তবুও আবেদন করেননি বাংলা আবাস যোজনায়। প্রধানের সততা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ এলাকাবাসী থেকে মন্ত্রী, এমনকি বিরোধী দলের নেতা-ও।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
প্রধান বলেন, “আমার পাকা বাড়ি নেই। আমি মাটির বাড়িতেই থাকি। যাদের যাদের দরকার, সবাই বাড়ি পাক। তারপরে যদি আমি পাই তখন নেব।” রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “এটা নিশ্চয়ই গর্বের বিষয়। আগে সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাবেন। তারপর জনপ্রতিনিধিরা নেবেন। এটাই তো হওয়া দরকার।” প্রধানের ভূমিকা দেখে খুশি বিজেপির জেলা মুখপাত্র জিতেন চট্টোপাধ্যায়-ও। তিনি বলেন,”তৃণমূল দলের কেউ কেউ সততার সাথে এগিয়ে যেতে চাইছেন কিন্তু একটা শ্রেণি শুধু লুট করেই যাচ্ছে। তাই তৃণমূলে থেকে কোনও লাভ নেই। ভালো থাকতে গেলে উনি তৃণমূল দল ছেড়ে দিন।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।