দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ১৬ জুলাই ২০২৪: দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগিয়ে বিলুপ্তপ্রায় পাখিদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী তিনি। বাড়িতে বীজ থেকে গাছের চারা তৈরি করেন। এরপর সাইকেলে চড়ে জায়গায় জায়গায় সেই সব গাছের চারা রোপণ করেন। বেড়া দিয়ে ঘিরে দেন যাতে গবাদি পশুতে খেয়ে নিতে না পারে। উদ্দেশ্য একটাই, উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে হারিয়ে যাওয়া পাখিরা যেন আবার ফিরে আসে। জীববৈচিত্র বজায় থাকে পরিবেশে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের কাঁকসার মলানদিঘি পঞ্চায়েতের আকন্দারার অশোক রায়। ছোট বিভিন্ন গাছ এবং পাখিদের নিয়ে চর্চা করেন তিনি। তখন থেকেই পরিবেশ বাঁচাতে বিভিন্ন গাছ রোপণ করতেন। একসময় কলকাতার বিভিন্ন যাত্রাদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে গত তিন বছর ধরে পাখিদের বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। বট, তাল, সুপারি, নারকেল, আম, জাম, কাঁঠাল গাছের সংখ্যা যত দিন যাচ্ছে কমছে। ফলে খাদ্য ও বাসস্থানের অভাবে বিলুপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় পাখি। তাদের ফিরিয়ে আনতে কাঁকসা ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় দেশীয় প্রজাতির ফলের গাছ লাগিয়ে চলেছেন অশোকবাবুু।
( রাজেন্দ্র একাডেমি ফর টিচার্স এডুকেশন। NAAC স্বীকৃত শিক্ষক প্রশিক্ষণের সেরা প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ- 8170031466)
গাছ লাগানোর সঙ্গে পোস্টারও দেওয়া হয়। লেখা থাকে গাছ আমার প্রাণ, সঙ্গীত আমার জীবন। এখনও পর্যন্ত তিনি ৪ হাজারের বেশি ফলের গাছ রোপণ করেছেন। কলম চারা দিয়ে না তিনি বীজ থেকে গাছ তৈরি করেন তারপরই বিভিন্ন প্রান্তে রোপণ করেন।তাঁর দাবি, কলম গাছ লম্বা হয় না। সেই গাছ পাখিদের বসবাসের উপযোগীও নয়। তাই তিনি বীজ দিয়ে চারা গাছ তৈরির পর সেগুলি রোপণ করেন। অসুস্থ পাখিদের সুস্থ করে তিনি জঙ্গলে ফিরিয়ে দেন। পাখিদের খাদ্যেরও যোগান দেন সাধ্যমতো।প্রশাসন এবং বনদফতর তাঁর প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। তাঁকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছে। পাখিদের কথা এভাবে ভাবেন বলে অনেকে তাঁকে ‘সেলিম আলী’ হিসাবে ডাকেন। (বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।