অন্যত্র ধর্ষণ ও খুন করে দেহ ফেলে রাখা হয়েছিল সেমিনার রুমে? জোরালো হচ্ছে সম্ভাবনা

দুর্গাপুর দর্পণ ডেস্ক: আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে কি হাসপাতালের অন্য কোথাও নৃশংসভাবে খুন ও ধর্ষণ করা হয়? তারপরে কি দেহ নিয়ে গিয়ে ফেলে রাখা হয় সেমিনার রুমে? সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ক্রমশ তেমন সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করতে গিয়েই ধন্ধে পড়ে গিয়েছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
বলা হচ্ছে, যেখানে সেমিনার রুম, সেই চার তলায় চিকিৎসকদের বিশ্রামের জন্য আলাদা ঘর রয়েছে। সেখানে একটি ঘর ভাঙার কাজ শুরু হওয়ায় একটি প্রশ্ন উঠে আসছে, সেই ঘরে কি তাহলে কিছু ঘটেছিল? প্রমাণ লোপাট করার জন্যই কি ঘর ভাঙার কাজ চলছিল? সেমিনার রুমে ভালো বেড রয়েছে। তা সত্বেও দেহ পাওয়া গিয়েছিল পোডিয়ামে। ভালো বেড ছেড়ে কেউ কেন ধুলো ভর্তি মেঝেয় বিছানা করে শুতে যাবেন কেন? বিছানা পাতা হয়েছিল একেবারে দেওয়াল ঘেঁসে, অত ধারে শুলে তো নড়াচড়া করতে সমস্যা হওয়ার কথা!
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
তরুণীর দেহ উদ্ধারের সময় দেখা যায়, দু’পা দু’দিকে ছড়ানো। একটি পা বিছানার বাইরে। লাল রঙের একটি কম্বল পড়ে ছিল তাঁর দেহের উপর। মাথার চুল খোলা। উর্ধ্বাঙ্গের পোশাক ছেঁড়া। নিম্নাঙ্গের পোশাক পোডিয়ামের মেঝেতে পড়ে ছিল। জুতো জোড়া পড়ে ছিল দেহের পাশে। যে বিছানায় তরুণী শুয়েছিলেন তার নিচ দিয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তার। বিদ্যুতের তারের উপরে কেউ বিছানা পাতে? বিপদের ভয় নেই তার? তরুণীর একটি হাত ছিল কপালের উপর। চিকিৎসকদের মতে, ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হলে এমন হতেই পারে। তবে এক্ষেত্রে তেমন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যার অর্থ, মৃত্যুর পরেই তরুণীর হাত ওই ভাবে রেখে দেওয়া হয়েছিল। এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়ার উপরেই নির্ভর করছে তদন্তের গতি প্রকৃতি। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।