সরকারি প্রকল্পের কাজে কাটমানি নিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধানের দর কষাকষি! ভিডিও ভাইরাল

দুর্গাপুর দর্পণ, বুদবুদ: সরকারি প্রকল্পের ‘কাটমানি’ নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের সাথে দর-কষাকষি ঠিকাদারের। ভিডিও ভাইরাল। যদিও দুর্গাপুর দর্পণ এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও পোস্ট করতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভিত্তিহীন অভিযোগ, পাল্টা দাবি প্রধানের। ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।
পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মানকর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ডালিয়া লাহা। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মানকর গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে তার সাথেই এক ব্যক্তির দর কষাকষি হচ্ছে। প্রধানের টেবিলে নামানো রয়েছে কিছু ৫০০ টাকার নোট। সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে সাবমার্সিবল বসানো নিয়ে চলছে কথা। সেই ভিডিওতে প্রধানের ছবি দেখা গেলেও প্রধানের সাথে যার কথা হচ্ছে তার ছবি দেখা যায়নি। অবশ্য দু’জনেরই কথোপকথন স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে, প্রধান ওই ব্যক্তির কাছে জানতে চাইছেন, এই কাজ কত টাকার? উত্তরে ওই ব্যক্তি বলছেন, “২ লাখ ৪৯ হাজার।” এরপরেই কিছুক্ষণ ‘কাটমানি’ নিয়ে কথোপকথন চলে। চাহিদা মতো অর্থ ওই ব্যক্তি না দিতে চাওয়ায় দু’জনের মধ্যে তর্কাতর্কিও শুরু হয়। বর্ধমান জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রমন শর্মা বলেন, “তৃণমূল মানেই কাটমানির খেলা। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রামে পঞ্চায়েত সদস্যরা দুর্নীতির সাথে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে পঞ্চায়েতগুলোকে টাকা দিচ্ছেন। আর পঞ্চায়েতে সেই টাকা হরিলুঠ হচ্ছে।” কেউ টাকা দিতে চাইলেও টাকায় হাত দেব, দাবি করে পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “চক্রান্ত হতে পারে। তবে আমার দিক দিয়ে আমি নিশ্চিত, আমি কাউকে কিছু দিইনি আর কিছু নিইনি। তাহলে আমার ভয় পাওয়ারও কোন কথা নেই।” এ বিষয়ে গলসির (১) বিডিও জয়প্রকাশ মণ্ডল বলেন, “একটি ভিডিও আমার নজরে এসেছে। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখছি।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।