দুর্গাপুরে স্বচ্ছতা নিয়ে রিভিউ মিটিংয়ে কাদের তুলোধোনা করলেন সচিব?

দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর: শনিবার দুপুরে পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে পঞ্চায়েতের স্বচ্ছতা নিয়ে রিভিউ মিটিং হয়। পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলার সমস্ত পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ এবং জেলাশাসকদের নিয়ে মিটিং হয়। রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিব পি উল্গানাথনের উপস্থিতিতে মিটিং হয়। তিন জেলার অধিকাংশ পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিকে তুলোধোনা করেন সচিব।
সচিব বলেন, বাইরে শৌচকর্ম এখনও হচ্ছে। কেন তৎপর নন পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা? সরকার বাড়িতে বাড়িতে শৌচালয় বানানোর জন্য টাকা দিচ্ছে কিন্তু বহু পঞ্চায়েত শৌচালয় বানাচ্ছে না। শৌচালয়ের অভাবে মাঠে যেতে বাধ্য হচ্ছেন মহিলারা। কোথাও আবার কমিউনিটি শৌচালয় তৈরি হয়েছে কিন্তু সচেতনতার অভাবে সেগুলি ব্যবহার হচ্ছে না। বহু এলাকায় বেহাল নিকাশি নালা। বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ নিষ্কাশন কেন্দ্র তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে কিন্তু বাস্তবায়িত হচ্ছে না। প্লাস্টিক ছেড়ে কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারের জন্যও পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করা হচ্ছে না। নিজের নিজের পঞ্চায়েতকে নির্মল করতে হলে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দিতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় যান। মানুষকে বোঝাতে হবে। তবেই গড়ে উঠবে নির্মল পঞ্চায়েত।
(The Mission Hospital. দেশের সেরা চতুর্থ হাসপাতাল এখন দুর্গাপুরে। যোগাযোগ- 8687500500)
তিনি আরও বলেন, “মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার অত্যন্ত ব্যস্ত থাকার পরেও পাড়ায় পাড়ায় যাচ্ছেন। তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন নির্মল পঞ্চায়েত গড়ার। কিছু পঞ্চায়েত ভাল কাজ করছে। সেই পঞ্চায়েত গুলির মতোই রাজ্যের সব পঞ্চায়েতকে কাজ করতে হবে। নির্মল বাংলায় পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এগিয়ে রয়েছে কাজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এবং গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে নির্মল করতে আমরা বদ্ধপরিকর। যখন শুরু হয়েছিল মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্প তখন আমাদের আধিকারিকরা মাঠে মাঠে ঘুরত। মানুষ এখন অনেকটাই সচেতন হয়েছে। ৮২ শতাংশ মানুষ সচেতন হয়েছে। তাই তারা বাড়িতেই শৌচকর্ম সারেন। বর্জ্যপ্রক্রিয়াকরণ ও নিষ্কাশন কেন্দ্রগুলিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে নিয়োগ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে আমরা সফল সেটা বলা যেতেই পারে।” এদিন উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পন্নামবলাম এস, বাঁকুড়ার জেলাশাসক এন সিয়াদ, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানী, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমানের জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি সহ তিন জেলার মহকুমা শাসক ও বিডিওরা। ( বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন )

