সনাতন গড়াই, দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪: শুধু চলে যায় এ জেলায়, সে জেলায়। দিনমজুর বাবা-মা। ছেলের সঠিক চিকিৎসা করাতে পারেননি। ছেলে এখন মানসিক রোগী। তাই ছেলে যেতে পালিয়ে না যায় তা আটকাতে পায়ে বেড়ি পরিয়ে রেখেছেন তাঁরা। পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের কাঁকসার বিদবিহারের দন্ডেশ্বর গ্রামের ঘটনা।
গ্রামের বাসিন্দা দয়াময়ী বাউড়ির তিন ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে অভিজিৎ স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে। ১৫ বছর বয়স থেকে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে সে। একাধিকবার চিকিৎসা করানো হয়েছে। সাময়িক সুস্থও হয়েছে। কিন্তু আর্থিক সমস্যার জেরে ধারাবাহিকভাবে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। সঠিক চিকিৎসা না হওয়ায় মাঝে মাঝেই অভিজিৎ চলে যায় বেরিয়ে।
তার বাবা দাবি করেন, ছোট থেকে ভাল ছিল। স্থানীয় স্কুলে পড়াশোনা করতো। রোজগার করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ১৫ বছর বয়স থেকে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। যখন চিকিৎসা করানো হয়েছে তখন সুস্থ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁরা দিনমজুরের কাজ করেন। তাই নিয়মিত চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারেন না। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় প্রচারে এসে ছেলের চিকিৎসার খরচ দেওয়া হবে, এমন আশ্বাস দিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু আজ আর তাঁদের খোঁজ পাওয়া যায় না।
তাঁর দাবি, একাধিকবার গ্রাম পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও গুরুত্ব দেননি কেউ। বছর দুই আগে ঝাড়গ্রামে চলে গিয়েছিল। কোনওক্রমে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। আর ছেলেকে হারাতে চান না। তাই ছেলের পায়ে শিকল বেঁধে রেখেছেন। বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল সরকার জানান, বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। পঞ্চায়েত পরিবারের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন। (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।