গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে কাঁঠালডাঙার মানুষের ভরসা কাঁঠালতলা

সনাতন গড়াই, দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা: বাড়ি, ঘর ফাঁকা। সবাই আশ্রয় নিয়েছেন কাঁঠাল গাছের তলায় মাচার উপরে। পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার কাঁকসার কাঁঠালডাঙায় গেলে এই ছবি দেখা যাবে। তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রির আশপাশে। সকাল আটটা পেরোতে না পেরোতেই মনে হচ্ছে যেন দুপুর। নাজেহাল দশা সবার। যাঁদের এসি রয়েছে তাঁরা আশ্রয় নিচ্ছে এসি ঘরে। তবে কাঁঠালডাঙার মতো জঙ্গলমহলের আদিবাসী পাড়ায় গেলে দেখা যাবে, বাসিন্দাদের দিন কাটছে গাছের তলায় মাচার উপরে।
কাঁঠালডাঙা প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকা। গ্রামে বেশিরভাগ বাড়ি টিনের আর টালির ছাউনি দেওয়া। সূর্যের প্রখর তেজের চোটে বাড়ির ভিতরে থাকা দায় হয়ে উঠছে। তাই তাঁরা গরমের হাত থেকে বাঁচতে গাছের তলায় মাচা তৈরি করেছেন। রোদ বাড়লেই সেই গাছ তলায় মাচাতে আশ্রয় নিচ্ছেন। সেখানেই চলছে খাওয়া দাওয়া, জিরিয়ে নেওয়া। কার্যত গোটা সংসার উঠে এসেছে মাচার উপরে।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
মনি কিস্কু নামে এক আদিবাসী মহিলা বলেন, “এত গরম, ঘরের ভিতরে থাকা যাচ্ছে না। বাড়িতে একটাই ফ্যান। তাই আমরা গাছ তলার মাচাতেই দিন কাটাচ্ছি। নিজেদের শরীর এবং বাচ্চাদের গরমের হাত থেকে রক্ষা করতে কাঁঠাল গাছ তলায় আশ্রয় নিচ্ছি। সেই মাচাতে বসে শরীরকে সুস্থ রাখতে দুপুরে আলু শাকের তরকারি, ঠান্ডা ভাত, সঙ্গে ছোট মাছের টক দিয়ে ভাত খাচ্ছি। সন্ধ্যা ৬টার পর তাপমাত্রা কিছুটা কমলে ঘরে যাচ্ছি।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)

