দুর্গাপুর দর্পণ, দুর্গাপুর, ২২ মার্চ ২০২৪: তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত সুদের কারবারি এবং তাঁর স্ত্রী জাতীয় সড়ক ধরে পালানোর পথে ধরা পড়ে গেল পুলিশের জালে। পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের কাঁকসার গোপালপুর উত্তর পাড়ায় তৃণমূল কর্মী পবিত্র বিশ্বাসকে মঙ্গলবার রাতে পিটিয়ে এবং শ্বাস রোধ করে খুনের অভিযোগ ওঠে এলাকার সুদের কারবারি শম্ভু দাস, স্ত্রী পূর্ণিমা দাস এবং তাদের দুই ছেলে বিপুল দাস এবং সম্রাট দাসের বিরুদ্ধে।
সেই রাতেই অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে শম্ভু দাসের একটি চার চাকা গাড়ি জ্বালিয়ে, ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বাড়িতে। বুধবার দিনভর উত্তপ্ত থাকে এলাকা। বৃহস্পতিবারও ময়নাতদন্তের পর দেহ নিয়ে ফের শম্ভু দাসের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভে নামেন এলাকাবাসীরা। পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয়।
পুলিশ আশ্বাস দেয় দ্রুত ধরা পড়বে অভিযুক্তরা। তারপরেই মৃতদেহ দাহ করতে নিয়ে যান পরিবার পরিজনেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোরে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে গাড়িতে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল শম্ভু দাস এবং তার স্ত্রী। তখন তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের পুলিশি হেফাজত চেয়ে তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে শম্ভু দাসের দুই ছেলের খোঁজ করবে পুলিশ। পাশাপাশি খুনের আসল কারণ জানার চেষ্টা চালানো হবে।
সূত্রের খবর, শম্ভু দাসের স্ত্রী পূর্ণিমা দাসের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন যুবক পবিত্র বিশ্বাস। মঙ্গলবার রাতে স্ত্রীর সাথে পবিত্রকে দেখতে পেয়ে চড়াও হয় শম্ভু এবং তার দুই ছেলে। তারপরেই পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে বাড়ির বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (কাঁকসা) সুমন কুমার জয়সওয়াল বলেন, “দশ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। দুই ছেলের খোঁজ চলছে।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।