দুর্গাপুর দর্পণ, ২৯ জুন ২০২৪: গত ২৪ জুন পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরের কাঁকসার মীরে পাড়া থেকে মহম্মদ হাবিবুল্লাহ নামে এক বছর ২১ এর যুবককে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে যুক্ত শাহাদাত গ্রুপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সোমবার রাতে এসটিএফ উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার কাছে নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপের মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা বছর ২৭ এর হারেজ শেখকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করে এবার চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করা হল ।
এসটিএফ সূত্রে খবর, মহম্মদ হাবিবুল্লাহকে জেরা করে বাংলাদেশে ২০১৭ সালে নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘আনসার আল ইসলাম’ নামের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের অংশ শাহাদাত গ্রুপের আরও এক সদস্য হারেজ শেখের খোঁজ মেলে। হারেজকে এসটিএফ কাঁকসা থানার পুলিশের মাধ্যমে দুর্গাপুর আদালতে পাঠায়। বিচারক ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। হাবিবুল্লাহ ও হারেজ শেখকে জেরা করতে শুরু করে এসটিএফ। শেষ পর্যন্ত উঠে আসে শেখ আনোয়ারের নাম। কে এই শেখ আনোয়ার? পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কুলসোনা এলাকার বাসিন্দা। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। তিন বোন আর বাবা-মা আছে বাড়িতে। চেন্নাইয়ে একটি লন্ড্রির দোকানে কাজ করত।
( BCREC & Group of institutions । পূর্ব ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 933927844, 9832131164, 9932245570, 9434250472)
এসটিএফ সূত্রে খবর, ২০২০ সালে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার এক যুবকের সাথে ধর্মীয় জলসায় আলাপ হয় আনোয়ারের। তারপর ‘উম্মান নাসিহার’ নামের একটি অনলাইন ব্লগে কাজ করার কথা জানায় সে। তারপর সেই ব্লগ থেকে নানান ধর্মীয় উস্কানি মূলক এবং নানা দেশবিরোধী খবর ছড়িয়ে দিত। চেন্নাইয়ে বসে এই কাজই চালাত সে। শুক্রবার দেশদ্রোহীতার মামলায় গ্রেফতার করা হয় আনোয়ারকে। তারপরে কাঁকসা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কাঁকসা থানার পুলিশ ধৃতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এসটিএফের কর্তারা এরপর শেখ আনোয়ারকে নিজেদের হেজাজতে নেন।
ESSAR GAS: গ্যাস উত্তোলক সংস্থায় বিরাট চুরি, দুষ্কৃতী ধরতে এ কোথায় গেল পুলিশ?
(বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।