দুর্গাপুর দর্পণ, কাঁকসা: পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) কাঁকসার গড়জঙ্গলে শ্যামরূপা মন্দিরে কৌশিকী অমাবস্যায় বিরাট যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। গত ১০ বছর ধরে সেখানে এই যজ্ঞের আয়োজন করে আসছে নবদ্বীপের শিব ভক্ত ব্রাহ্মণ সমাজ। মঙ্গলবার ৮০০ কেজি বেলকাঠ ও দশ কেজি ঘি দিয়ে হল যজ্ঞ।
কথিত আছে, ভাদ্র মাসের অমাবস্যা তিথিতে সিদ্ধি লাভ করেছিলেন বামদেব। তারপর থেকে কৌশিকী অমাবস্যার রাতে সিদ্ধি লাভের আশায় তান্ত্রিক এবং জ্যোতিষীরা তন্ত্রসাধনা করে থাকেন। তারাপীঠের আনাচে-কানাচে উপচে পড়ে ভিড়। তবে রাজা লক্ষণ সেনের আরাধ্যদেবী কাঁকসার গড় জঙ্গলের শ্যামরূপা মন্দিরেও হয় কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে যজ্ঞ। নবদ্বীপের শিব ভক্ত ব্রাহ্মণ সমাজ আসে যজ্ঞ করতে। ১২ ঘণ্টা ধরে এক নাগাড়ে চলে মন্ত্র উচ্চারণ।
(Dvita Eye Care। কলকাতার বাইরে সেরা চোখের হাসপাতাল। যোগাযোগ- 0343-6661111)
তবে সিদ্ধি লাভের আশায় নয়, এ যজ্ঞ সপ্তসতী চন্ডী মঙ্গলযজ্ঞ। সারা পৃথিবীর মানুষের মঙ্গল কামনা করা হয়। শ্যামরূপা মন্দিরে রাজ্যের ব্যতিক্রমী এই যজ্ঞে দূর দূরান্তের ভক্তদেরও সমাগম হয়। নবদ্বীপের শিব ভক্ত বাবুলাল গোস্বামী বলেন, “আমরা গত ১০ বছর ধরে সুরথ রাজা এবং লক্ষণ সেনের গড় জঙ্গলের মাঝে শ্যামরূপার মন্দিরে আসি যজ্ঞ করতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অধর্মের ঘটনা ঘটছে। অধর্মের বিনাশ এবং সারা পৃথিবীর মানুষের মঙ্গল কামনা করি। কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে সপ্তসতী চন্ডী মঙ্গলযজ্ঞ রাজ্যের মধ্যে একমাত্র এই মন্দিরেই হয়। আমরা যজ্ঞ শেষে নর নারায়ণ সেবারও ব্যবস্থা করি।” শামরূপা মন্দিরের সেবাইত সন্তোষ রায় বলেন, “মায়ের মন্দিরে কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে অনেকেই আসেন পুজো দিতে। নবদ্বীপের বহু মানুষ আসেন সবার মঙ্গল কামনায়। সারা রাত ধরে যজ্ঞ করেন। তান্ত্রিক, জ্যোতিষ থেকে ভক্ত, সবাই আসেন এখানে। আমরা সব রকম ভাবে সহযোগিতা করি।” (বিশেষ বিশেষ ভিডিও দেখতে DURGAPUR DARPAN ইউটিউব চ্যানেলটিও সাবস্ক্রাইব করুন)।